করোনাভাইরাস সতর্কতা : কোন সময়ে কী খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ডাল, তিন-চার ধরনের শাকসবজি ও কমপক্ষে ২টি আস্ত ফল খেতে হবে। দিনে ২.৫-৩ লিটার পানি পান করা জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করা উচিত। তবে যা-ই করুন বাড়ির বাইরে যাবেন না।

সকালে উঠে অল্প গরম পানি আর এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে গলার সমস্যা দূর হয়। একই সঙ্গে সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ নানা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। কাঁচা হলুদ না থাকলে রান্নায় ব্যবহৃত খাঁটি গুঁড়া হলুদ গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এর পর চা বা কফির সঙ্গে দুটি বিস্কুট।

jagonews24

সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবারের পরিমাণ হবে ওল্টানো পিরামিডের মতো। অর্থাৎ সকালের নাস্তা পরিমাণে অনেকটা বেশি। মধ্যাহ্নভোজ তার থেকে কম পরিমাণ আর রাতের খাবার অল্প।

সকালের নাস্তা: সকালে রুটি খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে ডিমসেদ্ধ, ডাল আর সালাদ। গাজর, বিনসসহ অন্যান্য সবজি দিয়ে ডাল ও ওটস খাওয়া যায়। গাজর, ক্যাপসিকাম, বরবটি সুজি ও সবজি দিয়ে চাওমিন রাঁধতে পারেন। আবার স্যুপ, সালাদ, ওমলেট খাওয়া যায়। পেটপুরে সকালের নাস্তা খাওয়ার পর মিড মর্নিংয়ে একটা লেবু, আপেল, পেঁপে, শসা বা যেকোনো একটা ফল অথবা ফ্রুট সালাদ দিলে বাচ্চা থেকে বড় সবাই খুশি হবে।

দুপুরের খাবার: সাধারণ বাঙালি খাবার- ভাত, ডাল, সবজি, মাছের ঝোল, শাকভাজা, লাউ, পেঁপে বা পটলের তরকারি খাওয়া যায়। তবে লকডাউনে এতসব সম্ভব না হলে সবজি দিয়ে ডাল, তরকারি, মাছের ঝোল, সালাদ আর দই বেশ পুষ্টিকর।

jagonews24

বিকেলের নাস্তা: ভেজানো ছোলা, বাদাম দিয়ে ঝালমুড়ি মুখরোচক আর পুষ্টিকর। চিনি ছাড়া লিকার চা আর বিস্কুট তো থাকবেই। তবে বাড়িতে আছেন বলে একাধিক বার চা ও কফি পান মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। দিনে তিন-চারবারের বেশি চা-কফি পান করা ঠিক নয়।

রাতের খাবার: রাতের খাবার নয়টার মধ্যে খেয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। খাবার অন্তত ২ ঘণ্টা পরে ঘুমানো উচিত। রুটি, ডাল, চিকেন সুবিধেমতো খাবেন। খাবার পর সহ্য হলে এক কাপ স্কিমড দুধ পান করলে ঘুম ভালো হয়।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।