কোয়ারেন্টাইনে পুরুষেরা যে কাজটি শিখতে পারেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০

কোয়ারেন্টাইনের সময়টাকে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন? তাহলে এমন একটি কাজ শিখে নিন যা কিনা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। এমনকী সম্পর্ক সুন্দর রাখতেও এর জুড়ি নেই। কী সেই কাজ? কিছুদিন আগের এক জরিপে দেখা গেছে, যেসব ছেলে ভালো রান্না জানেন মেয়েরা তাদের প্রতি একটু বেশিই আকৃষ্ট হন। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে অফিসের কাজের ফাঁকে রান্না শিখে নিন। যারা বাড়িতে থাকতে হচ্ছে বলে ছটফট করছেন তারাও একটু বাড়ির কাজ শিখুন। এমন সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় না।

রান্নাকে মোটেই মেয়েদের কাজ ভাবা চলবে না। বরং এগিয়ে আসুক ছেলেরাও। যেকোনো বড় রেস্তোরাঁর শেফ কিন্তু বেশিরভাগ ছেলেরাই হন। আবার এমনও অনেক ছেলে আছেন যারা পানিটুকুও ঢেলে খেতে পারেন না। হোস্টেল কিংবা মেসলাইফ এসে অনেক ছেলেই রন্ধন পটিয়সী হয়ে ওঠে। নিজের কাজ চালিয়ে নেয়ার মতো চিকেন, নুডলস, ওমলেট, ভাত এসব রান্না অনেকেই শিখে নেন।

বাইরের দেশে অধিকাংশ সময়েই ঘরের কাজ ভাগাভাগি করে নেন নারী-পুরুষ। কিন্তু আমাদের সমাজের বেশিরভাগ পুরুষই ঘরের কাজকে মেয়েদের কাজ মনে করেন। তবে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে। সঙ্গীর মন পেতে চাইলে রান্না বা অন্যান্য ঘরের কাজে মন দিচ্ছেন পুরুষেরাও।

Kaj-3.jpg

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সোশিওলজিস্ট স্কট কলট্রানে এবং মাইকেল অ্যাডামস সম্প্রতি এই গবেষণাটি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে মেয়েরাও এখন ছেলেদের মতোই ফুলটাইম অফিস করেন। বাড়ি ফেরার পর তাদের সঙ্গী যদি ঘরের কাজে সাহায্য করেন, তাহলে সঙ্গীর প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া কম হয়। ছেলেরা যদি মেয়েদের নানা কাজে সাহায্য করে তাতে সম্পর্ক আরও বেশি জোরদার হয়।

এছাড়াও সেই প্রভাব সন্তানদের উপর পড়ে। বাড়ি থেকেই তো শেখার শুরু। ফলে বাচ্চারা যেমন সহজে সবার সঙ্গে মিশতে শেখে তেমনই খাবারও ভাগ করে খেতে শেখে। সবাইকে সম্মান করতে শেখে। সম্পর্কের মর্যাদা দেয়। যারা বিবাহিত এবং বিয়ের উপযুক্ত তারা আজ থেকে রান্নাঘরে ঢুকুন। কোয়ারেন্টাইনের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে রান্নার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি শিখে নিন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।