সোশ্যাল আইসোলেশন যেভাবে আপনাকে ভাইরাসমুক্ত রাখবে
খালি চোখে দেখা যায় না অথচ কেড়ে নিতে পারে প্রাণ, পুরো পৃথিবীর মানুষের বিরুদ্ধে এখন প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এর ভয়ে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ায় এবং এর কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। তাই বেশিরভাগ দেশেই ভ্রমণের উপর জারি হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা।
এই অবস্থায় বার বার উঠে আসছে ‘সোশ্যাল আইসোলেশন’ শব্দটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে এই একটি মাত্র পদ্ধতি আশ্রয় করেই ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।
সোশ্যাল আইসোলেশন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে সমাজ থেকে দূরে থাকা। মানুষ সামাজিক জীব। যারা একা থাকেন, তাদেরও কাজের বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আর পাঁচজনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেই হয়।
সোশ্যাল আইসোলেশন মানে, এমন সমস্ত পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা যাতে আপনার অন্য কোনও মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ, অফিস, স্কুল-কলেজ, পাড়ার পার্ক, জিম, বাজার, সিনেমাহল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, এরোপ্লেন, ট্রেন, ট্যাক্সি সব কিছু থেকে দূরে থাকা।
কাজ করুন বাড়িতে বসে, নিজের রান্না নিজেই করে নিন। একান্ত অর্ডার করতে হলে এমন একটা ব্যবস্থা করুন যাতে ডেলিভারির লোক দরজার কাছে তা নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে পারেন। পেমেন্ট সেরে ফেলুন অনলাইনে।'
সম্ভব হলে ১৪-১৫ দিনের খাবারের জোগাড় রাখুন বাড়িতে। একান্ত বাইরে যেতে হলে পরিবারের একজন যান, ফিরে এসেই সাবান ও পানিতে গোসল সেরে নিন। কাপড় কেচে নিন গরম সাবান-পানিতে।
অবশ্য এই অবস্থাতে আপনি ফোনে কথা বলতে পারেন, সিনেমা দেখার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই। ঘরের মধ্যেই ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম সেরে নিন। হাঁটা বা যোগাসনের চর্চাও করতে পারেন।
অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন কম্পিউটারের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য আদর্শ হচ্ছে অনলাইন টিউটোরিয়াল।
যতদিন না এই মারণ ভাইরাসের আক্রমণ স্থিতিশীল একটা জায়গায় পৌঁছাচ্ছে ততদিন এই পদ্ধতির আশ্রয় নিলে সংক্রমণ আটকানো যেতে পারে। তবে এই সময়টা নষ্ট করবেন না, নিজের মতো করে কাটান। পরিবারকে সময় দিন, কোনো হবির চর্চা করুন। তা না হলে কিন্তু দমবন্ধ লাগতে পারে।
এইচএন/এমএস