করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে ৫ জিনিস ঘরে রাখবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ০৯ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি আপনার আবাসস্থল পরিষ্কার রাখা ভীষণ জরুরি। প্রত্যেক বাড়িতেই এমনকিছু জিনিস রাখা প্রয়োজন যা দিয়ে দ্রুত জীবাণু দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই এমন পাঁচটি জীবাণুনাশক উপকরণ সম্পর্কে যা আপনার বাড়িতে রাখা জরুরি-

জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ: বাড়িতে জীবাণু নাশক হ্যান্ডওয়াশ আছে তো? না থাকলে কিনে আনুন। প্রতিবার খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে, বাইরে থেকে বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এর বাইরেও জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়তে পারে বারবার।

jagonews24

জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে: রান্নাঘরে আমাদের প্রতিদিনের প্রায় সব খাবার তৈরি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই কক্ষটি দ্রুত নোংরা হয়। আর তাতেই জীবাণুরা আসন গেড়ে বসে। রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার জরুরি। খাবার তৈরির আগে ও পরে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার করে রান্নাঘর পরিষ্কার করুন। যাতে কোনো রোগজীবাণু খাবারে ঢুকতে না পারে। রান্নাঘর ছাড়াও বাথরুম, লিভিং রুম, ডাইনিং রুম এবং বেডরুমও পরিষ্কার করুন জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে দিয়ে।

jagonews24

রাবার গ্লাভস: গ্লাভস পরে কাজ করার অভ্যাস করুন। হাড়ি-পাতিল ধোয়া, টয়লেট পরিষ্কার বা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা মতো গৃহস্থালি কাজের জন্য রাবার গ্লাভস ব্যবহার করুন। এতে আপনি ও আপনার পরিবারের সদস্যরা সুরক্ষিত থাকবে।

jagonews24

বক্সড টিস্যু: টিস্যু খুব জরুরি একটি জিনিস। এর বিভিন্নরকম ব্যবহার রয়েছে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিস্যু রাখুন। যাতে কাশি বা হাঁচির সময় হাত বাড়ালেই টিস্যু পাওয়া যায়। এবং ব্যবহারের পর টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।

jagonews24

ভেজা টিস্যু, হান্ড স্যানিটাইজার এবং পকেট টিস্যু: জীবাণুনাশক ভেজা টিস্যু এবং স্যানিটাইজার ঘরে বা বাইরেও ব্যবহার করা যায়। যখন সাবান বা পানি পাওয়া যাবে না তখন এসব ব্যবহার করে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি ঘরে এবং নিজের সঙ্গে রাখুন।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।