নারকেলের পুষ্টিগুণ
আমাদের দেশে নারকেল একটি জনপ্রিয় ফল। কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্নরকম পিঠা ও সুস্বাদু খাবার তৈরিতে নারকেল ব্যবহার করা হয়। এই ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে পুষ্টিকর এই ফলটি।
নারকেলের পানি ত্বক ও চোখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। নারকেলের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি খনিজ উপাদান। হালকা ব্যায়াম বা পরিশ্রমের ক্লান্তি দূর করতে নারকেলের পানি বিশেষ উপকারী।
মাখন, বাটার অয়েল ও ভেজিটেবল অয়েলের বিকল্প হিসেবে ভোজ্য তেল হিসেবে রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার করা যেতে পারে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোলেস্টেরল ও শরীরের ওজন কমাতে নারকেল তেল কার্যকর।
খাবারে প্রচলিত চিনির পরিবর্তে নারকেলের চিনির ব্যবহার করা যায়। তবে এতে শক্তির ঘনত্ব বেশি হওয়ায় শুধু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
তাজা নারকেলের ভেতরের সাদা অংশ (শাঁস) অত্যন্ত সুস্বাদু, ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ এবং হালকা নাশতায় বেশ আকর্ষণীয় উপাদান হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলের শাঁসে প্রায় ২৭১ কিলোক্যালরি শক্তি থাকে।
দুধের তৈরি দইয়ের বিকল্প হিসেবে নারকেলের দই খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যারা ল্যাকটোজ বা দুগ্ধজাত খাবার সহ্য করতে পারে না, তাদের জন্য নারকেলের দই বিশেষ প্রযোজ্য।
এইচএন/পিআর