রান্নাঘরের এসব উপাদানেই ত্বক থাকবে ঝকঝকে
ঝটপট ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে আমরা কিছু ভুল করে ফেলি। যেমন দ্রুত ফল পাওয়ার আশায় প্রাকৃতিক উপাদান বাদ দিয়ে ব্যবহার করি কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কারণ সাময়িক সুফল মিললেও দেখা দিতে পারে দীর্ঘ সমস্যা।
অনেকে ধারণা, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে সময় বেশি লাগে। কিন্তু রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, খুব সহজে এবং অল্প সময় ব্যয় করেই ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। আর তাতে ক্ষতিও কম। এই সামগ্রীগুলো প্রাকৃতিক হওয়ায় নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। রান্নাঘরের কিছু অতি পরিচিত উপাদান দিয়েই নিতে পারবেন ত্বকের যত্ন। আর অল্প কদিনেই ত্বক হয়ে উঠবে ঝকঝকে-
আটা-ময়দা-বেসন: এগুলো দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফেস প্যাকের বেস। আটায় ভুসির পরিমাণ বেশি থাকায় প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসাবেও দারুণ কাজ করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আটার প্যাক উপযোগী।
মধু: প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে মধুর কোনো তুলনা হয় না। এছাড়া মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল উপাদান ব্রণ বা ফুসকুড়ি কমাতেও খুব কার্যকরী। যেকোনো ঘরোয়া ফেসপ্যাকের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও আর্দ্র থাকবে।
দই: মধু এবং দই মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে তা লাগান। ত্বকে পুষ্টি জোগান দেবে। এছাড়া ফুল ফ্যাট দুধ থেকে তৈরি দই শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
ওটমিল: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ওটমিল দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক অত্যন্ত কার্যকরী। দই ও ওটমিল দিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করুন। ত্বক উজ্জ্বল হবে। এছাড়া কোমল স্ক্রাব হিসেবেও খুব ভালো কাজ করে এটি।
নারিকেল তেল: চোখের কোলে কালি, শুষ্ক ঠোঁট কিংবা খসখসে ত্বক- এধরনের যেকোনো সমস্যায় ব্যবহার করুন নারিকেল তেল। এছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করতে চাইলে নারিকেল তেল গরম করে মাথায় লাগান। এর ফলে চুলের গোড়া পুষ্টি পাবে, কমবে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা।
এইচএন/এমকেএইচ