খাওয়ার পরে যে ৪ কাজ করলে ক্যান্সার হতে পারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৯

সময় নিয়ে আয়েশ করে খাওয়ার ব্যস্ততা আমাদের অনেকেরই হয় না। এর কারণ হলো ব্যস্ততা। সামনে যখন যা পাওয়া যাচ্ছে তাই খেয়ে নেয়া থেকে শুরু করে অনেকরকম বাছবিচার থেকেই দূরে থাকছি। যে কারণে ভুগতে হয় নানারকম অসুখে। এমনকী পাকস্থলিতে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে!

অনেক সময় দেখা যায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরেও তা আমাদের অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণ হলো খাওয়ার পরে আমরা এমনকিছু কাজ করি যা হজমের পক্ষে মোটেই সহায়ক নয়। জেনে নিন কোন ভুল অভ্যাসের কারণে ক্যান্সার হানা দিতে পারে আপনার ঘরেও-

Kaj-2

ভরপেট খাওয়ার পরে কয়েক টুকরো ফল খাওয়ার অভ্যাস? অনেকেই মনে করেন ভরা পেটে ফল খাওয়া বুঝি বেশ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। কিন্তু এটি একদমই ঠিক নয়। ফল আমাদের ইনটেসটাইনকে পরিষ্কার করে। কিন্তু খাওয়া দাওয়ার পর ফল খেলে হজমের সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে। তাই মূল খাবার ও ফল খাওয়ার ভেতরে অন্তত মিনিট বিশেক বিরতি নিন।

Kaj-2

খাওয়া শেষে এককাপ চা না হলে চলেই না? এই অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন। খাবার খাওয়ার পরপরই চা খাওয়ার অভ্যাস ভীষণ খারাপ। অনেকের কাছে এই অভ্যাস ফ্যাশনে পরিণত হলেও লাঞ্চ বা ডিনারের ঠিক পরেই চা বা কফি খাওয়া ঠিক নয়। এতে গ্যাস, বদহজম, কনস্টিপেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঝেমধ্যে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

Kaj-2

সিগারেটের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাই জানেন। এমনকী সিগারেটের প্যাকেটেই লেখা থাকে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। তবু দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা অসংখ্য। আর লাঞ্চ বা ডিনার সেরেই ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতিকর। এতে হজম ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। এমনকি গ্যাস হয়ে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।

Kaj-2

সময়ের অভাবে অনেকে খেয়ে উঠেই গোসলের জন্য ছোটেন। এই অভ্যাসও ভীষণরকম খারাপ। দিন হোক কিংবা রাতে, গোসল করে তারপর খান। খাওয়ার পরপরই কখনোই গোসল করতে যাবেন না। খাবার খাওয়ার পর শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এদিকে গোসলের পর রক্ত সঞ্চালন কমে। তাই খাবার ঠিকমতো হজম হতে পারে না। এর ফলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।