যেভাবে যত্ন নিলে চুল সুন্দর হবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রতিদিনের দূষণের প্রভাব পড়ে আমদের ত্বক আর চুলে। তাই দিনশেষে ঘরে ফিরে দেখা যায় চুল হয়ে গেছে রুক্ষ, শুষ্ক, প্রাণহীন। সেইসঙ্গে যত্নের অভাব তো রয়েছেই। চুলের যত্ন নিতে আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। প্রতিদিন কিছু নিয়ম মেনে চললেই হবে-

বেণি বাঁধুন: চুলের ক্ষতি কম করতে যতটা সম্ভব চুল আলগা বেণি বেঁধে রাখুন। যারা দ্রুত চুল লম্বা করতে চান, তারা বেণি বেঁধে রাখলে উপকার পাবেন। বাঁধা অবস্থায় চুলে ঘর্ষণজনিত ক্ষতি কম হয়, চুল কোমল আর মসৃণ থাকে। তবে খুব শক্ত বেণি বাঁধবেন না, তাতে টান পড়ে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে।

Chul-2

স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন: হিট স্টাইলিং বা কেমিক্যাল স্টাইলিংয়ে চুল সাময়িকভাবে দেখতে সুন্দর লাগলেও এসব পদ্ধতি চুলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে দেয়। তাই খুব প্রয়োজন না হলে এড়িয়ে চলুন স্টাইলিং। বরং ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল কার্ল বা ওয়েভ করে নিতে পারেন। তাতে স্টাইলিং খুব বেশি সময় স্থায়ী হবে না, কিন্তু বাড়তি কোনো ক্ষতিও হবে না।

ঠান্ডা পানি ব্যবহার: হালকা গরম পানিতে চুল পরিষ্কার করলে চুলের কিউটিকল খুলে যায় এবং শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার চুলের গভীরে ঢুকতে পারে। কিন্তু একেবারে শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন, যাতে খোলা কিউটিকল আবার বন্ধ হয়ে যায়। না হলে চুল খুব রুক্ষ আর বিবর্ণ দেখাবে।

Chul-2

তেল ব্যবহার: চুলে তেল ব্যবহার করা যতই অসুবিধার কাজ হোক না কেন, আপনার চুলে পুষ্টি জোগাতে এর বিকল্প নেই। সপ্তাহে অন্তত একদিন স্ক্যাল্প আর চুলে ঘষে ঘষে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন। তেল মেখে অন্তত আধঘণ্টা অপেক্ষা করবেন, যাতে তেলের পুষ্টি চুলের গভীরে শুষে যেতে পারে। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।

Chul-2

অযথা এক্সপেরিমেন্ট নয়: নতুন হেয়ার কালার বা হেয়ার স্টাইল বাজারে এলেই তা অনুসরণ করবেন না। চুলের উপর যত পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন, তত বেশি ক্ষতি হবে চুলের। নিয়মিত তেল মাখুন, শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, মাসে একদিন স্পা করান, শুধু এটুকুতেই নরম, মোলায়েম থাকবে আপনার চুল।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।