একাধিক শারীরিক সম্পর্কে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৯

টিকা নেয়ার পর একটু হলেও কমেছিল জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। আবারো প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি।

কারণ সারভাইকাল ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শুধুই জরায়ু ক্যানসার নয়, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) সংক্রমণের কারণে বাড়ছে গলা ও কিছু অঙ্গে ক্যান্সারের প্রবণতা।

সম্প্রতি ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে এই ভাইরাস আক্রমণে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। যা ২০১৫ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার। হঠাৎ এই কারণ নিয়ে চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ যত বেড়েছে ততই খোঁজ পড়েছে প্রকৃত কারণের।

তাঁদের মতে, টিকা নেয়ার সাফল্য না মেলায় রোগের পুনরাবির্ভাব ঘটছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে হোক বা মেয়ে, বয়ঃসন্ধি পেরলেই এইচপিভি ভ্যাক্সিন নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যদিও ভ্যাক্সিন নিতে মানুষকে যথেষ্ট উৎসাহী করা যায়নি। বরং টিকাকরণের বিষয়ে সাধারণের উৎসাহে কিছুটা ভাটা পড়েছে।

অন্যদিকে বয়ঃসন্ধির সময় না পেরতেই শুরু হয়ে যায় অবাধ যৌন সম্পর্ক। শারীরিক চাহিদা পূরণে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে পৌঁছে যেতেও দেরি হয় না। সেই বহু মিলনের সুযোগেই শরীরে ঢুকে পড়ে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস।

এই ভাইরাসের সংক্রমণে শুধু যৌনাঙ্গই নয়, সঙ্গে মলদ্বার, ঠোঁট, মুখ, গলাতেও ক্যান্সার হতে পারে। সবমিলিয়ে এগারো বছর বয়স হলেই ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলকে টিকা নেয়ার জন্য উৎসাহী করাই এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্চ।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।