গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন


প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৫

গ্যাস্ট্রিকের মূল কারণগুলো হলো এসিডিটি, হজমের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার আরো কিছু কারণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং, কিডনিতে পাথর, আলসার ইত্যাদি। চলুন জেনে নেয়া যাক, গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১. প্রতিবেলার খাবার প্রতিদিন ঠিক একই সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

২. তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন। যদি তা নাও পারেন সমস্যা নেই। তবে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।

৩. মাংস, ডিম, বিরিয়ানী, মোঘলাই, চাইনিজ খাবার যা-ই খান না কেন সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হয় হালকা টাইপের। শাক-সবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেনু সাজান।

৪. যদি সাইনাসের সমস্যা না থাকে তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানি খান। খুব বেশি ঠান্ডা পানি যেন না হয়। তবে গরম পানি না খাওয়াটাই মঙ্গলজনক।

৫. ভাত খাওয়ার আগে এক বা দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তারপরে ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশি পানি খাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝে দেখা যায়। এটা বর্জন করুন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান।

৬. প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে গ্যাস তৈরি হবেনা। যেমন- শাক-সবজি, কলা, ঢেড়স ইত্যাদি।

৭. সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। তাও যদি খেতে হয় চেস্টা করুন গুড় দিয়ে চিনির অভাবটা পুরণ করতে।

৮. বাজারে পাওয়া যায় দেশে তৈরি সবধরণের জুস যথাসম্ভব বর্জন করুন।

৯. দিনে কিংবা রাতে-খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা বর্জন করুন। কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর শুতে যান।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।