স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করবে অন্তর্বাস!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

স্তন ক্যান্সার একটি মারাত্মক আতঙ্কের নাম। চরিত্র বদলে আগ্রাসী হয়ে উঠছে স্তন ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় ভয়ের দিক হলো, একবার সেরে যাওয়ার এক থেকে দু’ বছরের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রোগ আবার ফিরে আসছে রোগীর দেহে!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুর এক সমীক্ষায় জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ১৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ৪ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরই মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে।

বর্তমানে ২৫-৩০ বছরের নারীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যান্সারে। এদিকে এই বয়সের নারীদের বিকিরণের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ম্যামোগ্রাম টেস্টের পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা। ফলে বিপদ ক্রমশ বেড়েই চলছে! তবে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় আবিষ্কার করেছেন একদল বিজ্ঞানী।

ভারতের সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস ফর ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি (সি-মেট) নারীদের জন্য একটি বিশেষ অন্তর্বাস বা ব্রা তৈরি করেছেন। এই ব্রায় রয়েছে একটি সেন্সর, যা স্তনে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষকে শনাক্ত করতে সক্ষম। থার্মাল ইমেজিংয়ের মাধ্যমে এই সেন্সর ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ শনাক্ত করবে।

সি-মেট-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, এতে রেডিয়েশন বা বিকিরণের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ ত্বকের তাপমাত্রার তারতম্য এ ক্ষেত্রে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ শনাক্ত করার কাজ করবে।

এই আবিষ্কারের জন্য সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি থেকে ‘নারী শক্তি’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা এ সীমা।

তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ চার বছরের গবেষণার ফসল এই থার্মাল ইমেজিং সেন্সর যুক্ত ব্রা। ইতিমধ্যেই মোট ৩১৭ জন পরীক্ষামূলক ভাবে এই ব্রা ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে ১১৭ জন স্তন ক্যান্সারের রোগী।

সি-মেট-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, থার্মাল ইমেজিং সেন্সর যুক্ত এই বিশেষ ব্রার দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বাণিজ্যিকীকরণের পর এর দাম অনেকটাই কমবে বলে বিশ্বাস এ সীমার। সেন্সর যুক্ত এই বিশেষ ব্রা নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।