লিভার সুস্থ রাখতে যা খাবেন


প্রকাশিত: ০৭:২২ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

সুস্থভাবে বাঁচার জন্য শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গই সুস্থ রাখা জরুরি। কিন্তু প্রতিদিনই আমাদের দেশে অনেক মানুষ লিভারসংক্রান্ত জটিলতায় মৃত্যুবরণ করে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, কোন খাবার গ্রহণ করলে লিভারসংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব-

জাম্বুরা : জাম্বুরা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লিভারকে সুস্থ্য রাখার জন্য খুবই জরুরী। জাম্বুরা ফলে রয়েছে এমন কিছু যৌগ যা লিভার ডিটক্সিফিকেশন এনজাইম উৎপাদন বৃদ্ধি করে।

রসুন : রসুনের মধ্যে রয়েছে সালফার সমৃদ্ধ যৌগ যা লিভার এনজাইমকে সক্রিয় করে দেহকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে মুক্ত রাখতে। রসুনের মত পেঁয়াজেও রয়েছে এলিসিন এবং সেলেনিয়াম নামক দুটি শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান যা লিভারকে বিষক্রিয়া থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে।

গ্রিন টি : গ্রিন টি ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে ফ্যাট মুক্ত রাখে এবং লিভার ফাংশনকে উন্নত করে। এই শক্তিশালী পানীয় লিভারকে ড্যামেজ হওয়া থেকে এবং বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে।

সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি যেমন করলা, পালংশাক, সরিষা ইত্যাদি এদের মধ্যে রয়েছে পরিশোধক যৌগ যা লিভারে অবস্থিত দৃঢ় ধাতুকে নিউট্রালাইজ করে। এই ধরনের সবুজ শাকসবজি দেহ থেকে পেষ্টিসাইডস এবং হার্বিসাইডস দূর করে এবং পরিশোধক পিত্ত গঠনে এবং প্রবাহিতকরণকে ত্বরান্বিত করে।

হলুদ : হলুদ হচ্ছে সবচেয়ে উপাকারি খাবার যা লিভারকে সুস্থ্য রাখার জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখে। এই খাবার লিভারকে বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে তাছাড়া ড্যামেজড লিভার সেলগুলোকে সক্রিয় করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। হলুদ পিত্ত উৎপাদনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখে এবং পিত্তথলির সকল কার্যপ্রণালিকে উন্নত করে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।