হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার
নিয়মিত খাদ্যগ্রহণ যেমন জরুরি, তেমনি সেই খাবার হজম হওয়াটাও জরুরি। হজমশক্তি কমে গেলে দেহে পুষ্টির অভাবে বাসা বাঁধা শুরু করে নানা ধরণের রোগ। এমনকি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ওজনও। তাই আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখা এবং হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য খেতে হবে প্রয়োজনীয় খাবার। কিছু খাবার রয়েছে যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন হজমশক্তি বৃদ্ধি করে দেহ সুস্থ রাখবে-
আদা হজমের শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। আদায় রয়েছে ‘জিনজারোলস’ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকক্রিয়া দ্রুত করে। সকালে এক কাপ আদা চা এবং রান্নায় আদার ব্যবহার কিংবা কাঁচা আদা খাওয়া পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।
বিটরুট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এই সবজিতে রয়েছে বিটাসায়নিন, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এছাড়া এতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি৩, বি৬ এবং ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন যা সবই পরিপাকযন্ত্র, লিভার এবং গলব্লাডারের সুরক্ষায় কাজ করে।
রসুন দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোন ধরণের ঠাণ্ডা কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুন দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
ব্রকলির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নিয়মিত ব্রকলি খাওয়া দেহের জন্য অনেক ভালো। এটি আমাদের দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে। স্যুপ, পাস্তা কিংবা সাধারণ সবজি রান্নায় ব্রকলি ব্যবহার করুন। দেহ সুস্থ থাকবে।
বাঁধাকপি প্রচুর পরিমানে সালফার সমৃদ্ধ বাঁধাকপি দেহকে যেকোনো ধরণের ক্ষতিকর টক্সিন মুক্ত রাখার কাজে ব্যবহার হয়। বাঁধাকপিতে প্রায় ৬০% পানি থাকায় এটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। যা দেহের সকল ধরণের দূষিত পানি দূর করে হজমশক্তি উন্নত এবং পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।
দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা দেহের ফ্যাটি এসিড হজম করতে সাহায্য করে। এবং এটি আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী।
এইচএন/পিআর