ফোনে কথা বলার কিছু শিষ্টাচার
মানুষের মৌলিক চাহিদার উপাদান বুঝি আরেকটি বাড়লো! অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, বিনোদনের পাশাপাশি মোবাইল ফোনও বুঝি জায়গা করে নিচ্ছে! দেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে যিনি একটি মোবাইল ফোনের মালিক নন। প্রয়োজন এবং প্রয়োজনের বাইরে ফোনে কম-বেশি কথা বলি আমরা সবাই। ফোনে কথা বলার জন্য রয়েছে স্বাভাবিক কিছু নিয়ম কানুন। জেনে কিংবা না জেনে অনেকেই সেই নিয়ম মেনে ফোনে কথা বলেন না। আপনার প্রয়োজনীয় ফোনটি অনেক সময় অনেকের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ফোনে কথা বলা বা ফোন ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি-
১. ফোন করে অবশ্যই প্রথমে নিজের পরিচয় দিন। পরিচয় লুকিয়ে ফোন করাও একধরনের অপরাধ।
২. ফোনে যতটা সম্ভব কথা সংক্ষেপ করুন। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার মত সময় ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তিটির নাও থাকতে পারে।
৩. জরুরি ফোনকলগুলো দিনের বেলায় সেরে রাখতে পারেন। গভীর রাতে কিংবা খুব সকালে কাউকে ফোন না করাই ভালো।
৪. যতটা সম্ভব আস্তে কথা বলুন। খুব জোরে ফোনে কথা বলবেন না। তাতে করে আপনার আশপাশের লোকজন বিরক্ত হতে পারে।
৫. ফোনের রিংটোনও আপনার রুচিবোধের পরিচয় তুলে ধরে। তাই রিংটোন বাছাইয়ের সময় সতর্ক থাকুন।
৬. অফিসে, কাজের ক্ষেত্রে বা মিটিংয়ে থাকলে ফোন সাইলেন্ট বা ভাইব্রেশন মোডে রাখুন। নয়তো কাজের মনোনিবেশ ক্ষুন্ন হতে পারে।
৭. ফোনে গান শুনতে চাইলে হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। উচ্চশব্দে গান বাজালে আশপাশের লোকজনের জন্য তা বিরক্তির কারণ হতে পারে।
ফোন মানুষের কল্যাণের জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে। তাই ফোনের প্রত্যেকটি ব্যবহার হোক সুন্দর ও সামাজিক।
এইচএন/এমআরআই