হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ০৮:০৩ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় `পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি`। এটি আপনার খুব পরিচিত একটি রোগের নাম, হাত-পায়ে জ্বালাপোড়ার সঙ্গে কমবেশি পরিচিত সবাই। নানা কারণে, এমনকি মানসিক বিপর্যয় থেকেও হতে পারে এই রোগ। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাত-পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এমন ঘটে। এ রোগের প্রধান উপসর্গ হলো হাত বা পায়ের পাতা মাঝে মাঝে জ্বালাপোড়া করে। কখনো সুঁই ফোটার মতো বিঁধে। ঝিমঝিম বা অবশও লাগে। অনেকেরই এ ধরনের অনুভূতি হয়।

কেন হয় :
১. হাত-পায়ে জ্বালাপোড়ার বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে হাত-পায়ের স্নায়ুকে ধ্বংস করে এ ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে।
২. কিডনি ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে।
৩. শরীরে ভিটামিন বি ১২ ও বি ১-এর অভাব হলে।
৪. মদ্যপান, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থাকলে।
৫. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পায়ে জ্বালাপোড়া হতে পারে, যেমন যক্ষ্মা রোগে ব্যবহৃত আইসোনিয়াজিড, হৃদরোগে ব্যবহৃত অ্যামিওড্যারোন, কেমোথেরাপি ইত্যাদি।
৬. ছত্রাক সংক্রমণ।
৭. রক্ত চলাচলে সমস্যা।
৮. মহিলাদের মেনোপোজের পর।
৯. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ।

কী করবেন :
১. ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, হাত-পায়ের যত্ন নিন।
২. যাদের স্নায়ু সমস্যা আছে, তারা হাত-পায়ের যেকোনো ক্ষতের দ্রুত চিকিৎসা নিন।
৩. পায়ে গরম সেঁক নিন। নখ কাটা ও জুতা নির্বাচনে সাবধান হোন।
৪. পায়ের সমস্যার জন্য সব সময় যে ভিটামিনের অভাবই দায়ী, তা নয়। তাই সব ধরনের সমস্যায় ভিটামিন বি খেয়ে উপকার পাওয়া যাবে না।
৫. দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান।
৬. নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো সেবন করতে পারেন।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।