সুখী দম্পতি হতে চাইলে আপনার জন্যই এই টিপস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

প্রতিটি সম্পর্কই চায় গুরুত্ব। হোক তা মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের, বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর কিংবা স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর। পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ, মনোযোগ, দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসা না থাকলে সেই সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে পড়ে। দাম্পত্যজীবনে সুখী হওয়ার উপায় খুঁজে বেড়ান অনেকেই। কখনো কখনো উজাড় করে ভালোবেসেও কোথায় যেন অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই সুখী দম্পতি হতে চাইলে নিচের টিপসগুলো মিলিয়ে নিন-

আরও পড়ুন: ছেলেরা যে ছয়টি কারণে সম্পর্কে জড়াতে চায় না

আপনার জীবন আপনারই। আরেকজনের সঙ্গে তার মিল খুঁজতে যাওয়া বোকামী। তাইতো সুখী দম্পতিরা অন্যদের দাম্পত্যজীবনের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করেন না। তারা চেষ্টা করেন নিজেদের মতো করেই সুখী হতে।

সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি টেনে আনাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাইতো সুখী দম্পতিরা এই কাজটি কখনোই করেন না। সঙ্গীর কোনো কাজ বা আচরণ পছন্দ না হলে তারা সে ব্যাপারে নিজেদের বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছে নালিশ করেন না। নিজেরাই কথা বলে সমাধান করে নেন।

আরেকজন মানুষ কখনোই শতভাগ আপনার মনের মতো হতে পারবেন না। তাইতো চলতে গিয়ে মতের অমিল হতে পারে প্রিয় মানুষটির সঙ্গেও। যারা সুখী দম্পতি তারা অন্যায়ভাবে একে অপরকে আক্রমণ তো করেনই না, রাগও পুষে রাখেন না। আবার বহুবছর ধরে এই একই ব্যাপার নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করে না।

যতই দিনরাত একসঙ্গে থাকেন না কেন, কিছুটা সময় তারা একান্তে কাটানোর চেষ্টা করেন। যে সময়টা শুধুই তাদের দুজনের। দুজনের পছন্দের কাজ, পছন্দের বিষয় নিয়ে গল্প করেই কেটে যায় সময়টা। এতে করে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়।

তারা নিজেদেরই আদর্শ দম্পতি হিসেবে মানেন। অন্য দম্পতিদের আদর্শ মাপকাঠি হিসেবে রাখেন না। এতে সুখী হওয়াটা আরো সহজ হয়ে যায়।

পরস্পরের ছোট ছোট ভুল-ত্রুটি মেনে নিয়েই তারা একে অপরকে ভালোবাসেন। কারণ কোনো মানুষই শতভাগ নিখুঁত হয় না।

আরও পড়ুন: বিয়ের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

ছেলেদের কাজ কিংবা মেয়েদের কাজ- কাজের ক্ষেত্রে এমন কোনো বৈষম্য তারা রাখেন না। সাংসারিক কাজ তারা দুজনেই সমান দায়িত্বের সঙ্গে কাঁধে তুলে নেন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।