যেমন হবে শিশুর উপহার
জন্মদিন কিংবা অন্য কোনো নিমন্ত্রণে শিশুর জন্য উপহার নিয়ে যাবেন। ব্যস্ততায় হয়তো উপহার কেনা হয়ে ওঠেনি। যাওয়ার পথে হয়তো কিনে ফেললেন কেক, পোশাক কিংবা আকর্ষণীয় কোনো খেলনা। শিশুকে এমন কোনো উপহার দিন যা তার উপযোগী এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে।
শিশুকে তার বয়স উপযোগী উপহার দিতে হবে। এই যেমন, তিন বছরের শিশুকে এনসাইক্লোপিডিয়া দিলে সে হয়তো তা বুঝবে না। এ সময় তাকে বিভিন্ন অক্ষরের ব্লক, বর্ণমালা দিয়ে ছবি আঁকা, ছবির বই কিংবা কার্টুনের ডিভিডি দিতে পারেন।
শিশুরা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, প্রাণিজগৎ নিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র- এসব পছন্দ করে। বাড়ন্ত বয়সের যেকোনো শিশুর বাড়িতে মানচিত্র, অ্যাটলাস, গ্লোব ইত্যাদি থাকা উচিত। এগুলো শিশুর জ্ঞানের ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করে।
অনেক সময় আমরা শিশুর জন্য খেলনা বন্দুক, পিস্তল, চাকু, তলোয়ার এসব দিই। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। দেখা গেল, টিভিতে কোনো অনুষ্ঠানে এসব যন্ত্রের ব্যবহার সে দেখল। তখন তার মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ছোটবেলা থেকেই শিশুর বুদ্ধির বিকাশে রুবিকস কিউব, বিভিন্ন ধরনের পাজল মেলানোর খেলনা দিতে পারেন। এতে তার আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশও হবে। শিশুর চিন্তাশক্তি প্রসারিত হবে।
উপহার হিসেবে বইয়ের তো কোনো তুলনাই হয় না। শিশুতোষ বই ছাড়া ওদের উপযোগী করে লেখা বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী কিনে দিতে পারেন। রং তুলি, রং পেনসিল ও ক্যানভাস পেলে তো শিশুদের খুশি ধরেই না। ছোটদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ক্যানভাস, ইজেলও উপহার হিসেবে দিতে পারেন। তবে ওর যদি বিশেষ কোনো জিনিস পছন্দের থাকে, সেটি দিলেও সে খুশি থাকে।
যেসব শিশু খেলাধুলা পছন্দ করে তাকে ফুটবল, ক্রিকেট ব্যাট, টেনিস বল, ভলিবল, ভূগোল লুডু, ব্যাডমিন্টন ব্যাট, সহজেই উপহার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। আবার যারা একটু কৌতূহলপ্রিয় তাদের বাইনোকুলার, ছোট ক্যালকুলেটর, কম্পাস দিতে পারেন।
এইচএন/পিআর