সপ্তাহের সবচেয়ে ‘বিরক্তিকর দিন’ কোনটি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৮

বৃহস্পতিবার অফিস শেষে বাসায় ফেরার সময় থেকেই মনটা ফুরফুরে হয়ে যায়। কারণ রাত ফুরালেই শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনের কথা ভাবতেই মন কেমন ফূর্তিতে উড়তে চায়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই আবার এক অজানা ভয়, অনিচ্ছা, অবসাদ চেপে বসে। কারণ পরের দিন শনিবার। আবার অফিস, কাজের চাপ, ট্রাফিকের জঞ্জালে আটকে থাকার আতঙ্ক! কিন্তু এই অনুভূতিগুলো কি শুধুই শনিবারের জন্য?

আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু এমনটি ভাবার কোনও কারণ নেই। সাম্প্রতিক গবেষণায় সামনে এসেছে সপ্তাহের অন্য একটি দিন, যেটি সবচেয়ে ‘বিরক্তিকর দিন’! গবেষকরা বলছেন, ছুটির আমেজ কাটিয়ে শনিবার অফিসে যাওয়ার কথায় যতই মন খারাপ, অনিচ্ছা, বিরক্তি ভাব আসুক না কেন; আসলে চাকরিজীবীদের কাছে সবচেয়ে বিরক্তিকর দিন হলো বুধবার।

সিডনি ইউনিভার্সিটি ও ভারমাউন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, এ সমীক্ষায় প্রায় ২৪ লাখ ইন্টারনেট ব্লগের রেফারেন্স মেলানো হয়েছে। গবেষক ক্রিস্টোফার ড্যানফোর্থ জানান, সপ্তাহের শেষে ছুটির দিনের বিশ্রাম, হৈ-হুল্লোড়ের রেশ শনিবারেও থেকে যায়। তাছাড়া ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগদানের ফলে শরীর-মনের স্ফূর্তিও যথেষ্ট থাকে। যার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের কাজের উপরেও পড়ে।

jagonews24

মঙ্গলবার শুরু থেকে খুশি আর স্ফূর্তির রেশ কাটিয়ে গতানুগতিক কাজের মধ্যে আমরা ঢুকে পড়ি। মঙ্গলবার দিনের শেষে শরীরের স্ফূর্তি, কর্মক্ষমতা, ইচ্ছা— সবই প্রায় কমতে থাকে। তাই বুধবার আসতে না আসতে একঘেয়ে লাগে কাজের চাপ বা নিত্য দিনের ঝামেলা।

বৃহষ্পতিবার থেকে আবার বিরক্তিভাব, অবসাদ, একঘেয়েমি কাটতে শুরু করে ধীরে ধীরে। কারণ মাথায় তখন কাজ করে ‘কাল ছুটি’! সব মিলিয়েই মোটামুটি বৃহষ্পতিবার দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই অনেকটা চাপমুক্ত অনুভব করেন অধিকাংশ মানুষ। তাই অপ্রত্যাশিতভাবে সপ্তাহের সবচেয়ে ‘বিরক্তিকর দিন’ হিসেবে উঠে এসেছে বুধবার।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের মতে, সপ্তাহের ‘হ্যাপিয়েস্ট’ দিনগুলো হলো- শনিবার, রবিবার। আর ‘মোস্ট ডিপ্রেসিং’ দিন হলো বুধবার। সমীক্ষায় ডিপ্রেসিং ডে তালিকায় বুধবারের পরেই রয়েছে বৃহষ্পতিবার।

এএ/এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।