যে কারণে গর্ভবতীরা কোমল পানীয় খাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৮

গরমে প্রাণ জুড়াতে কোমল পানীয় পান করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এই কোমল পানীয়ই হয়ে দাঁড়ায় কঠিন অসুখের কারণ। এক বোতল কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে আমাদের শরীরে প্রায় ১৪০ গ্রাম ক্যালরি প্রবেশ করে। শরীরের জমতে থাকা এই অতিরিক্ত ক্যালরি এক সময়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিনির মাত্রা বেশি রয়েছে এমন ঠান্ডা পানীয় খেলে মায়ের শারীরিক ক্ষতি তো হয়ই, সেই সঙ্গে বাচ্চা জন্ম নেয়ার পর তার অ্যাস্থেমার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থায় যে মায়েরা বেশি মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্ক খেয়ে থাকেন,তাদের বাচ্চারা জন্ম নেওয়ার ৭-৯ বছরের মধ্যে ক্রণিক অ্যাস্থেমায় আক্রান্ত হয়। তাই আপনার বাচ্চাকে যদি সুন্দর, স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যত উপহার দিতে চান, তাহলে ভুলেও এই নয় মাসে একবারও কোল্ড ড্রিঙ্ক চেখে দেখবেন না যেন!

jagonews24

কোল্ড ড্রিঙ্কসে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। তাই তো এমন ধরনের পানীয় বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা খুব বেড়ে যায়। ফলে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণেই প্রেসারের রোগীদের কোল্ড ড্রিঙ্ক খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

কোল্ড ড্রিঙ্কসে অ্যাসিডিক এলিমেন্ট খুব বেশি থাকে। যে কারণে এই ধরনের পানীয় খেলে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ দাঁতের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

কোমল পানীয়তে ক্যালোরি মাত্রা খুব বেশি থাকে। ফলে কোল্ড ড্রিঙ্ক বা ডায়েট সোডা বেশি মাত্রায় খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতা বিগড়ে যাওয়ার কারণে আরও নানা ধরনের রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়।

বেশি মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্কস বা ডায়েট সোডা খেলে কিডনি ফাংশন ব্যাহত হয়। সেই সঙ্গে কিডনি স্টোনের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আসলে এই ধরনের পানীয়, ইউরিনে অ্যাসিড এবং খনিজের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দেয়। যে কারণে কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

প্রতিদিন কোমল পানীয় খেলে চোখে পরার মতো কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি ঘটে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। শুধু তাই নয়, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে কোল্ড ডিঙ্কস খাওয়ার সঙ্গে স্ট্রোকেরও একটা যোগ রয়েছে। তাই সাবধান!

প্রতিদিন ২ ক্যান কোমল পানীয় খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আর হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় প্রায় ৫০ শতাংশ। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো এমন ধরনের পানীয় হয়তো আপনাদের তেষ্টা মেটায়, মানসিক শান্তিও দেয়। কিন্তু বাস্তবে আপনাকে হার্টকে একেবারে অকেজ করে দেয়।

jagonews24

এই ধরনের পানীয়তে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র মস্তিষ্কের কাছে সিগনাল যায় যে শরীরে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে একের পর এক নানা ধরনের সমস্য়া দেখা দিতে শুরু করে।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।