কেন খাবেন কাঁচা আম

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ০৭ মে ২০১৮

বাজারে এখনও পাকা আমের দেখা মিলছে না খুব একটা। সেই জায়গাটা দখল করে আছে কাঁচা আম। আচার বানিয়ে রেখে সারা বছর খাওয়া যায় বলে গৃহিনিদের কাছে খুব প্রিয় এই কাঁচা আম। কিন্তু ভিটামিন সি অক্ষুণ্ন রেখে যখন আপনি কাঁচা আম খাবেন সেটি আপনার জন্য বেশি উপকারি হবে। কাঁচা আমের রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। চলুন জেনে নেই-

গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের জুস অত্যধিক ঘাম এর কারণে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং লোহার অত্যধিক ক্ষতি রোধ করে।

শুকনো আম পাউডারকে বলা হয় ‘আমচুর’। এটি স্কার্ভি চিকিৎসায় অত্যন্ত উপকারী।

কাঁচা আম পেক্টিন (pectin) একটি সমৃদ্ধশালী উৎস, মধু এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত উপকারী। এটি গ্রীষ্মকালীন ডায়রিয়া, আমাশয়, পাইলস, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য ওষুধ হিসেবে খুব কার্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।

কাঁচা আম এর উচ্চ ভিটামিন সি রক্তনালীসমূহের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটা, যক্ষা, রস্বল্পতা, কলেরা এবং অতিসার রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা এবং চিম্টি লবণ, মিশিয়ে সেদ্ধ করে জুস করে খেলে ঘামাচি রোধ করতে সাহায্য করে, এবং গ্রীষ্মকালে স্ট্রোকের ঝুকি হতে রক্ষা করে।

এটা যকৃতের রোগ চিকিৎসায় সাহায্য করে ও পিত্ত অ্যাসিড কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে লিভারকে রক্ষা করে।

এটি পিত্ত অ্যাসিড বৃদ্ধি ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আঁত পরিষ্কার হিসেবে যকৃতের রোগ চিকিৎসায় সাহায্য করে।

কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে রক্ষা করে।

এটি মর্নিং সিকনেস চিকিৎসার সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

কাঁচা আম ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস এবং এটি মনোবল উন্নত করে ও রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

কাঁচা আম রক্ত পরিষ্কার করে। আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক এসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে।

কাঁচা আম আমাদের স্কিন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।