কাবাব খাবার আগে সাবধান


প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

খাবার দোকানে সারি সারি মাংসখন্ডকে ঝলসাতে দেখতে ডিভ দিয়ে কার জল পড়ে না বলুন তো? কাবাবের গন্ধ শুঁকেও পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার সাধ্য একেবারে কারোর হয়না৷ পটেক গড়ের মাঠ হলেও রাস্তার ফুটে দাঁড়িয়ে চোখের খিদে মিটিয়ে নেন সকলেই৷ কিন্তু বাঙালির এই সাধের খাবারেও এবার বাধা পড়তে চলেছে৷ সম্প্রতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্ত খাবারকে টাটা বাই বাই করে দিন৷

চিকিৎসকেরা মতে, আগুনে ঝলসানো নুন, মশলা মাখানো মাংস বা মাছ থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক ডেকে আনতে পারে মারণরোগ ক্যানসার৷

কানাডার ভ্যাঙ্কাভুর শহরের এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক এস.এম.চন্দ্রমোহন জানিয়েছেন, মাছ বা মাংসকে সরাসরি আগুনো পোড়ানো হলে তার উপর জমে ওঠে ক্যানসার উৎপাদক রাসায়নিক৷ তাঁর মতে, এই ধরণের খাবার ধূমপান বা মদ্যপানের চেয়েও ক্ষতিকর৷

সম্প্রতি এই হাসপাতালে ১০১ জব রোগীর উপর একটি গবেষণা করা হয়৷ এই রোগীদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের খুঁটিনাটি জানা হয়৷ তার সঙ্গে তুলনামূলক সমীক্ষায় জানতে চাোয়া হয়, সমপরিমাণ সুস্থ মানুষের জীবনযাপনের পদ্ধতি৷ দেকা গেছে, যারা নিয়মিত কাবাব বা তন্দুর মাংস খান তাদের ক্ষেত্রে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা সাধারন মানুষের থেকে নয় গুণ বেশি৷ যাদের ধূমপানের প্রবণতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ক্যানসারের সম্ভাবনা ৮ শতাংশ এবং মদ্যপানের অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ক্যানসারের সম্ভবনা চার শতাংশ বেশি৷

প্রসঙ্গত, পোড়া মাংস নিয়ে সতর্কবাণী এই প্রথম নয়৷ খ্যাদ বিশেষজ্ঞদের মতে, চর্বিযুক্ত নুন মাখানো সরাসরি কাঠ বা কয়লার আগুনে পোড়ানো হলে তাতে আলকাতরা জমে যায়, যা শরীরে ক্যানসার উৎপাদন করে৷ অর্থাৎ ধূমপান করলে যে পরিমাণ আলকাতরা শরীরে মেশে তার চেয়ে কয়েকগহুণ বেশি আলকাতরা কাবাবজাতীয় খাবার থখেকে শরীরে মিশতে পারে৷ যদিও বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেছেন যে আরও অনেক কারণেই ক্যানসার হতে পারে, কিন্তু তাই বলে এই জাতীয় খাবার থেকেও ক্যানসারের ঝুঁকি একেবারেই এড়িয়ে যাওযা যায় না৷

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।