বয়ঃসন্ধিতে ব্রণের সমস্যা হলে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৭

বয়ঃসন্ধিকালীন অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ছেলে কিংবা মেয়ে যে কারোই হতে পারে এই সমস্যা। ত্বকে কিছু ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র আছে। হেয়ার ফলিকসলস। এর মধ্যে তৈলাক্ত পদার্থ সিবাম (যা চুল ও ত্বক মসৃণ রাখে) মজুদ থাকে। বেশির ভাগ গ্রন্থিতে সিবাম যা উৎপন্ন হয় তা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। কিন্তু তা যদি বেশি পরিমাণের হয়, জ্যাম লেগে যায়, মৃত ত্বক কোষ ও সর্বোপরি ব্যাকটেরিয়া অণুজীবাণু মিলে ব্রণের সৃষ্টি। চামড়া ভেদ করে তা বেরিয়ে আসে। লালচে ইনফেকশন নিয়েও প্রকাশ পায়, আবার বেশ ভেতরে ঢুকে সিস্ট তৈরি হতে পারে।

বয়ঃসন্ধিকালীন যারা বেশি মানসিক চাপে থাকে, তাতে বেশি সিবাম উৎপন্ন হয়। এমনিতে এই সময়ে দেহে যেসব হরমোন বেশি মাত্রায় উৎপন্ন হয় তা সিবামের আধিক্য বাড়ায়। তবে ২০ বছরের দিকে বেশির ভাগের এই ব্রণ সমস্যা থাকে না।

দিনে ১-২ বার তোমার মুখমণ্ডল হালকা গরম পানি ও অল্প ক্ষারের সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে তা যেন তেলযুক্ত না হয়। যখন মুখ ধোওয়ার সময় সম্পূর্ণভাবে মেকআপ পরিষ্কার হয়ে যায়। হেয়ার স্প্রে বা জেল যেন মুখমণ্ডলে না লাগে। বারবার মুখে হাত লাগানো যাবে না। ব্রণ কখনো খুঁটবেন না।

শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং ব্যাক্টেরিয়া থেকেই ব্রণের উৎপত্তি। সবুজ শাক ও সবজিতে, বিশেষ করে পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোফিল যা শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন ও ব্যাক্টেরিয়া পরিষোধিত করতে সাহায্য করে। আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে দীর্ঘদিন।

ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর এই সবজি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তিতেও এই উপাদান সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি প্রতিদিন গাজর খেলে ত্বক সুন্দর হয়ে উঠবে।

ব্রণ থেকে দূরে থাকতে হলে এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। খেতে হবে তাজা সব খাবার। ভাজাপোড়া ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজের প্রতি যত্নশীলতার অনুশীলন শুরু হবে এখান থেকেই।

এইচএন/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।