জামের যত উপকারিতা


প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ০৯ জুন ২০১৫

`পাকা জামের মধুর রসে রঙিণ করি মুখ` ছেলেবেলায় `মামার বাড়ি` কবিতার এই লাইনটি কে না পড়েছেন! আসলেই তাই। টসটসে পাকা জামের স্বাদ যেমন মধুর, এর উপকারিতাও কিন্তু প্রচুর। জাম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ফলের ইংরেজি নাম `ব্ল্যাকবেরি`। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `সি`, `ই` এবং `এ`। ভিটামিন `সি` গরমে ঠান্ডা জনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম।

জামের ভিটামিন `এ` দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী। বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এ ফল ভীষণ উপকারী। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও কপার। ডায়রিয়া-পরবর্তী অবস্থায় বড় ও ছোট সবার জন্য জিংক ও কপার দরকার। ক্লান্তি দূর করার জন্য মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করাটা ভীষণ জরুরি।

জামে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি। বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্ল্যাডপ্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম।

জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।