ব্লাড ব্যাংকের খোঁজখবর


প্রকাশিত: ০৭:৩৮ এএম, ০৮ জুন ২০১৫

রোগীদের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে রক্ত সেবা প্রদানে বেশ কয়েকটি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। সংগঠনগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। এই সংগঠনগুলো রোগীদের রক্ত সরবরাহে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। চাহিদা মাফিক গ্রুপের রক্ত তাদের সংগ্রহে না থাকলে রক্তদাতার ব্যবস্থাও করে থাকে। এ সকল প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় রক্ত দাতাদের রক্ত সংগ্রহ ও সরবরাহ করে থাকে। তাদের সংগ্রহে প্রক্রিয়াকৃত ব্যতীত সকল গ্রুপের রক্ত থাকে।

রক্তদান ও গ্রহণ :
১. প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে নমুনা রক্ত দিতে হয়।
২. নমুনা রক্তে কোন প্রকার সমস্যা না থাকলে রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নেয়া হয়।
৩. রক্ত গ্রহণের সময় হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের সিল ও স্বাক্ষরসহ লিখিত ব্লাড রিকুইজেশন জমা দিতে হয়।

খরচ :
১. রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটির এক ব্যাগ রক্তের খরচ পড়ে ৭০০ টাকা। বাঁধন ব্লাড ব্যাংক শুধুমাত্র ব্লাড ব্যাগের দাম নিয়ে থাকে। কোয়ান্টামে ব্লাড সেন্টারের এক ব্যাগ রক্তের খরচ পড়ে ৭৫০ টাকা। পুলিশ ব্লাড ব্যাংকে রক্তের দাম রাখা না হলেও ব্লাড ব্যাগের মূল্য, পাঁচটি রোগের পরীক্ষা খরচ, ক্রস ম্যাচিং টেস্ট ও প্রসেসিং এর জন্য ৪০০ টাকা ফি রাখা হয়।
২. রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি সরকারি হাসপাতালের ফ্রি বেডের রোগীদের জন্য ২৫০ টাকা ও ক্লিনিকের রোগীদের জন্য ৪৫০ টাকায় রক্ত দিয়ে থাকে। থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন সাপেক্ষে ৫০% ছাড়ে রক্ত দিয়ে থাকে। কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য ছাড় দিয়ে থাকে।

সুযোগ সুবিধা :
১. রক্ত দানের পর রক্ত দাতাদের জন্য জুস ও গ্লুকোজের ব্যবস্থা করে।
২. রক্ত সংরক্ষণের জন্য  CPDA-1 ব্যাগ ব্যবহার করে থাকে।
৩. রক্ত সংগ্রহের জন্য একটি সাধারণত সিরিঞ্জ একবারই ব্যবহার করে থাকে।
৪. পুলিশ ব্লাড ব্যাংক থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছাড়াও অন্য যে কোন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য রক্ত সরবরাহ করতে পারে। রক্ত সংরক্ষণে না থাকলে তালিকাভুক্ত রক্তদাতার সাথে যোগাযোগ করে রক্তের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকে। পুলিশ ব্লাড ব্যাংক গরীব রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
৫. এই ব্লাড ব্যাংকগুলো যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে থাকে।
৬. রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি ও কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংকের সদস্য হওয়া না গেলেও শিক্ষার্থীদের জন্য বাঁধনের সদস্য পদ উন্মুক্ত রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি ও কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক রক্তদাতাদের চিহ্নিত করতে একটি আইডি কার্ড প্রদান করে থাকে।
৭. রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি চাহিদা মত রক্ত পাওয়া না গেলে রক্ত দাতার ব্যবস্থা করে থাকে।
৮. প্রতিবার রক্ত সংগ্রহের সময় হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, সিফিলিস, এইডস ও ম্যালেরিয়া এই পাঁচটি রোগের জীবানু আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।
৯. বাঁধন ব্লাড ব্যাংক থেকে থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে খরচে ছাড় পাওয়া যায় না।

যারা রক্তদান করতে পারেন :
১. ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের যাদের ওজন নূন্যতম ৪৫ কেজি বা ১০০ পাউন্ড তারা রক্তদান করতে পারেন।
২. রক্তদানের সময় রক্তদাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৬০ থেকে ১০০ বার এর মধ্যে হতে হয়।
৩. ওষুধ ছাড়া সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০ এবং ১৪০ থেকে পারদ চাপ এবং ডায়স্টোলিক রক্ত চাপ ৬০ থেকে ১০০ পারদ চাপের মধ্যে হওয়া প্রয়োজন।
৪. পুরুষের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন ১২.৫ গ্রাম/এমএল এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১১.৫/১০০ গ্রাম/এমএল হওয়া দরকার।
৫. রক্তদাতাকে শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হয়।
৬. রক্তদাতার রক্ত পরিসঞ্চালন জনিত কোন রোগ আছে কিনা সেটাও দেখতে হয়। সিরিঞ্জের মাধ্যমে রক্ত গ্রহণকারীদের বাহুতে যে ধরনের স্কার মার্ক থাকে, তা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়।

ঢাকার কয়েকটি ব্লাড ব্যাংকের ঠিকানা :

পুলিশ ব্লাড ব্যাংক
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ।
ফোন : ৯৩৬২৫৭৩।
মোবাইল : ০১৭১৩৩৯৮৩৮৬।
ই-মেইল : [email protected]
ওয়েবসাইট : www.policebloodbank.gov.bd

কোয়ান্টাম সেন্টার
৩১/ডি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সড়ক (পুরাতন শান্তিনগর) ঢাকা-১২১৭। (ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পূর্ব পাশে)
ফোন : ৮৩২২৯৮৭।
মোবাইল : ০১৭১৪০১০৮৬৯।
ই-মেইল : [email protected]
ওয়েবসাইট : www.quantammethod.org.bd
২৪ ঘন্টা খোলা

বাঁধন ব্লাড ব্যাংক
বাঁধন, টি.এস.সি (নীচতলা) (জোনাল অফিস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ল
ফোন : ৮৬২৯০৪২।
ই-মেইল : [email protected]
ওয়েবসাইট : www.badhan.org
সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা

রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি
৬৮৪, ৬৮৬, বড় মগবাজার, ঢাকা।
ফোন : ৯১১৬৫৬৩।
ফোন : ০১৮১১৪৫৮৫২৪।
২৪ ঘন্টা খোলা

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।