মেদ কমাবে হলুদ
আমাদের রান্নায় অতি পরিচিত একটি মশলা হলো হলুদ। হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিকারসিনোজেনিক, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম,কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হলুদ তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয়ে দিয়ে থাকে।
হলুদ আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। হলুদের উপাদান পেটের মেদ কাটতে সাহায্য করে থাকে। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন খাবারের সাথে এক চামচ করে হলুদ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার ওজন কমে গেছে।
আরও পড়ুন: মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান অস্থিমজ্জার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। অস্টিওআর্থারাইটিস রোগীদের জন্য হলুদের নির্যাস ঔষধের মতো কাজ করে থাকে।
হলুদ প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এমনকি এটি ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করে দিয়ে থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে হলুদে থাকা উপাদানগুলো টিউমারের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
খাবারে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। কোলেস্টেরল থেকে অনেক রোগের সূচনা হতে পারে। তাই এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: আলুর পুষ্টিগুণ
হলুদ পেট ফাঁপা, গ্যাসে সমস্যা রোধ করে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। হজমে সমস্যা হলে রান্না ছাড়া শুধু হলুদ খেলে উপকার পাবেন। তবে হ্যাঁ যারা গলব্লাডারের কোন রোগে ভুগছেন তারা সরাসরি হলুদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
হলুদ আমাদের লিভারকে সুস্থ রাখে। হলুদের প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল এবং সুন্দর। কিন্তু অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
এইচএন/পিআর