মধ্যবয়সীদের সাজঘর


প্রকাশিত: ০৮:০১ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সামনেই বিয়ে বাড়ি। আপনি নিজে খুব সেজেছেন। কিন্তু, আপনার মা সেই খালি শাড়িতেই আটকে। শুধু বিয়ে বাড়ি নয়, কোন পুজো পার্বণ থাকলেও, আমাদের মা জেঠিমারা  কোথাও যাবার আগে সাজগোজ নিয়ে খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন লিপস্টিকটা বেশি কড়া হয়ে গেল না তো, মুখের পাউডারটা বেশি চড়া হল না তো?  তবে হ্যাঁ এটা মানতে হবে যে বয়সের সাথে সাজের অবশ্যই পরিবর্তন আসা উচিৎ। ৪৫ ঊর্ধ্ব নারীদের ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক আর কটকটে রঙের পোশাক আপনার ব্যক্তিত্ব, রুচি বোধ আর আভিজাত্যকে অনেকটা ফাঙ্কি করে তোলে। কোন পার্টিতে গিয়েছেন, আড় চোখে লক্ষ্য করছেন সবাই কেন যেন আপনাকে দেখে ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি দিচ্ছে। সাজগোজই হয়তো তাদের হাসির কারণ। কিন্তু আপনি বুঝে পাচ্ছেন না কী বেশি দিয়েছেন আর কী কম দিয়েছেন, আপনার পরিধেয় পোশাকের রঙ কতটা দৃষ্টিকটু। আর মন খারাপ করা নয়। মধ্য বয়সী সমস্ত মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ ও সাজগোজ নিয়ে রইল সম্পূর্ণ গাইড লাইন :

ফাউন্ডেশনঃ এই বয়সে স্কিন অনেক বেশি ড্রাই হয়ে যায় তাই ময়েশচারাইজিং ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা জরুরী। আমরা অনেকে পাউডার বা ম্যাট ফাউন্ডেশন লাগাতে চাই কিন্তু এগুলোতে আমাদের মুখে থাকা রিঙ্কেল সহজে বোঝা যায়। ফাউন্ডেশনের রঙ নির্বাচন করুন ঠিক আপনার ত্বকের রঙের সাথে মিলিয়ে। বেশি ফর্সা দেখানোর জন্য সাদাটে রঙ বেছে নেবেন না। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর সাধারন পাউডার লাগিয়ে নিন।

কন্সিলারঃ  ৪০ এর পর থেকে আমাদের ত্বকে ভাজ দেখা যায়। বিশেষ করে চোখের কোণায়, এমনকি চোখের নীচে পুঁটলি মত দেখা যায়, আর ডার্ক সার্কেল তো কমন প্রব্লেমের মধ্যেই ধরা যায়। এগুলো ঢেকে ফেলার জন্য কন্সিলার জরুরী। গোল্ডেন টোনের বা একটু হলদে রঙের কন্সিলার বেছে নিবেন।

ব্লাশঃ চটকদার কোন রঙের বদলে বেছে নিন হালকা ন্যাচারাল কালার। ক্রিম ব্লাশ হবে আপনার জন্য সবচেয়ে সুইটেবল। ফ্লোরাল কালারের ব্লাশের ছোঁয়া দিন আপনার চিক বোন, নাকের ওপর, কপালে।

আইশেডোঃ সব সময় চকচকে রঙের বদলে বেছে নিন ন্যাচারাল কালার। আইশ্যাডোর ম্যাটেরিয়াল যেন ম্যাট হয়। টোউপ অথবা বেইজ কালার, ব্লু এর বিভিন্ন শেড অ্যাপ্লাই করবেন সব সময়। এই কালারগুলো যে কাপড়ের সাথে ম্যাচ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আর সবচেয়ে ইন্ট্রাস্টিং ব্যাপার হল কালারগুলো সব রঙের কাপড়ের সাথেই মানানসই। আইলিডে একটু ডার্ক কালার আর ভ্রু এর নিচে হালকা রঙ ব্যবহার করবেন।

মাশকারাঃ মাশকারা এমনভাবে দেবেন যেন খুব বেশি আইল্যাস ঘন না দেখায়। একবার দিলেই যথেষ্ট। উপরের ল্যাশে শুধু লাগাবেন।নিচের ল্যাশে লাগানোর দরকার নেই। আর খেয়াল রাখবেন স্মাজ ফ্রি মাশকারা নেবেন। আজকাল বিভিন্ন রঙের মাশকারা পাওয়া যায় কিন্তু কালো রঙেরটাই আপনার জন্য সঠিক নির্বাচন হবে।

আইলাইনারঃ দিনের বেলা আইলাইনার লাগাবেন না। রাতের বেলা লাগাতে পারেন। কিন্তু আপনার চোখের সাইজের সমান সমান লাগাবেন। আর অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির আইলাইনার ব্যবহার করবেন। কেননা সস্তা দামের গুলো একটু চকচকে থাকে যা আপনার পারসোনালিটিকে একদম স্যুট করবে না আর এগুলো ওয়াটার প্রুফও হয় না। ফলে ঘেমে গেলেই পুরো চোখে ছড়িয়ে পড়ে। চাইলে আই পেন্সিলও লাগাতে পারেন। রঙ্গের ক্ষেত্রে কালো, ব্রাউন কে প্রাধান্য দেবেন।

কাজলঃ বেশি গাঢ় করে কাজল লাগাবেন না। যেহেতু দিনের বেলা আইলাইনার নয়, সেহেতু দিনের বেলা শুধু একটু কাজলের ছোঁয়া আপনার চোখ দুটিকে করে তুলবে মায়াবি।

ভ্রু এর সাজঃ আপনার ভ্রু যদি হালকা হয়ে থাকে তাহলে হাতের আঙ্গুলে কালো ও ব্রাউন কালার দু’টি নিয়ে একটু মিশিয়ে নেবেন। তারপর ভ্রুর উপর হালকা হাতে ঘষে দেবেন। খেয়াল রাখবেন গাঢ় যেন না হয়ে যায়। তাহলে ভ্রু জোড়াকে মেকি মেকি দেখাবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।