যে অভ্যাসগুলো ক্যান্সার থেকে দূরে রাখবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

যে কারণগুলির জন্য আমাদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধার ঝুঁকি রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো আমাদের দৈনন্দিন কাজের খারাপ প্রভাব। তাই এ থেকে মুক্তি পাওয়ার চাবিকাঠি আমাদের হাতেই। আমাদের ছোট ছোট সাবধানতা শরীরে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন। আর তাতে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন সহজেই।

ফলমূল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে তার পুষ্টিগুণ অটুট থাকে এবং ক্যান্সার কোষ গঠনে বাঁধা দানের ক্ষমতা সম্পন্ন নিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন টমেটো ও মরিচ যদি বাইরে রেখে দেন ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে তাহলে এতে দ্বিগুণ পরিমাণে ব্যাক্টেকারোটেন এবং ২০ গুণ বেশি পরিমাণে লাইকোপেন থাকে যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা দানে বিশেষ কার্যকরী।

যারা একটানা অনেক্ষণ বসে থাকেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্তের আশঙ্কা প্রতি ২ ঘণ্টায় প্রায় ১০% বেড়ে যায়। গবেষকদের মতে আধাঘণ্টা পরপরই উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নেয়া ভালো।

cancer2

কয়লার আগুনে পোড়ানো,উচ্চতাপমাত্রায় তেলে ভাজা এবং রান্না করা মাংসে অনেক ধরণের কেমিক্যাল উৎপন্ন হয়। যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মেরিনেট করার ফলে মাংসের উপরে যে লেয়ার তৈরি হয় তা সরাসরি আগুনের তাপে মাংস রান্না হতে বাঁধা দেয় এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল উৎপন্ন হতে পারে না। তাই রান্নার আগে অবশ্যই মাংস মেরিনেট করে নিন।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার সাথে ইউকে এর প্রায় ১৪% পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার যোগাযোগ দেখা গিয়েছে। প্রতিদিন আমাদের ৬ গ্রামের কম পরিমাণে লবণ অর্থাৎ ২.৪ গ্রাম সোডিয়াম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এর চাইতে বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

সুগন্ধি কেমিক্যালযুক্ত মোমবাতির কারসিনোজেনিক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে এই ধরণের কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মোম পোড়ানোর ধোঁয়া এবং গন্ধ খুবই ক্ষতিকর। ঘরে আলো বাতাস চলাচল হতে দিন এবং সুগন্ধি মোম কেনা বন্ধ করুন।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।