কেমন হবে শিশুর ঘর
বাড়ির সবচেয়ে কমবয়সী সদস্যটির ঘর সাজাতে গিয়ে আপনাকে একটু দুশ্চিন্তায় পড়তেই হতে পারে। কারণ একটি শিশু আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রুচি বা পছন্দ কখনোই একরকম হয় না। তাই শিশুর ঘর সাজানোর সময় মনে রাখতে হবে ঘরটা কোন বয়সী শিশুর জন্য সাজানো হচ্ছে। শিশুর জন্য নিচু খাটের ব্যবস্থা করতে হবে; যাতে শিশু হঠাৎ পড়ে গেলেও ব্যথা না পায়। স্কুলগামী শিশুদের ঘরে এ সময় নতুন কিছু আসবাবের প্রয়োজন পড়ে।
শিশুদের জন্য যে ঘরে প্রচুর আলো বাতাস আসে এবং ধুলাবালি তুলনামূলক কম ঢোকে এমন ঘর নির্বাচন করা উচিত। শিশুর পড়ার সুবিধার জন্য উজ্জ্বল সাদা আলো দেয়াটা ভালো। ঘরের বিভিন্ন কোণে স্পটলাইট বা ওয়ার্ম ফোকাস লাইট ব্যবহার করতে পারেন। শিশুর ঘরে রাতে অল্প আলোর জন্য হালকা নীল আলোই সবচেয়ে ভালো।
শিশুর পড়াশোনার জন্য টেবিল চেয়ার, টেবিল ল্যাম্প, শিশুর পোশাক, খেলনা ইত্যাদি রাখার জন্য একটি ওয়ারড্রোবের দরকার হয়। ওয়ারড্রোবটি যেন শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী হয়। বই রাখার জন্য একটি বুক শেলফ রাখতে পারেন। সম্ভব হলে একটি কম্পিউটারও দিন। বন্ধুরা মিলে গল্প করতে পারবে এমন একটা সোফাও বানিয়ে দিন।
শিশুদের ঘরে ঝকঝকে সাদার বদলে অফ হোয়াইট, পিঙ্ক, হলুদ এমনকি লাল রঙের ব্যবহার করা যেতে পারে। ইচ্ছে করলে একটি দেয়ালের কিছুটা অংশ অন্য রঙের করেও ভিন্নতা আনা যেতে পারে। ঘরের ছাদ, ফাঁকা দেয়াল, পড়ার টেবিলের পাশের দেয়াল, ঘরের দরজায় নানাভাবে ডেকোরেশন করে নিন। শিশুর ঘরের বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা সব কিছুতেই শিশুবান্ধব নকশা, রঙ-বৈচিত্র্য রাখতে পারেন।
এইচএন/এমএস