হাত ও পায়ের যত্ন
হাত-পায়ের পরিচ্ছন্নতা আমদের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ করে। কোমল ও সুন্দর হাত-পা পেতে প্রতি মাসে ২ বার হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। যেহেতু হাত দিয়েই আমাদের সব কাজ করা হয়। তাই হাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে হবে। যেমন ধরুন কোনো সবজি কাটার সময় হাতে তেল মেখে কাটলে হাতে কোনো দাগ হবে না। এরকমই কিছু যত্ন রয়েছে যা নিয়মিত মেনে চললে আপনার হাত-পা থাকবে কোমল ও সুন্দর।
হাতের যত্নে: প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানিতে লবণ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে হাত ভিজিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে হাইড্রোজিন প্যারোস্লাইড ২০ ভিওএল ১০ ফোঁটা পানিতে মিশিয়ে নিলে নখের হলুদ ভাব কমে যাবে। ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর যে কোনো নরম ব্রাশ দিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে হালকাভাবে ঘষে নখ পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনে নখ কাটা ও নখ ফাইলও করতে পারেন। বাফার দিয়ে ঘষলে নখের গ্লেস ফিরে আসবে।
যেকোনো প্যাক ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এভাবে যত্ন নিলে হাতের দাগ থাকবে না। ত্বক টানভাব থাকবে এবং হাতের উজ্জ্বলতা বাড়বে। আর যে কোনো কালারের নেইলপলিশ লাগানোর আগে বেইজকোট লাগিয়ে নিন। এতে নখের হলুদ ভাব কমবে এবং নখ ভাঙবেও কম। এছাড়া যাদের নখ ভাঙার সমস্যা আছে তারা নখে রসুন ঘষলে অনেক উপকার পাবেন।
পায়ের যত্নে: প্রথমে হালকা গরম পানিতে ৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। হাতের মতো পায়েও একইভাবে পরিষ্কার করার পর পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষলে পা ফাটা কমবে। প্রথমে পা ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিতে হবে। নখ ঘষার পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর প্যাক লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া সপ্তাহে ১ বার স্ক্রাব দিয়েও পরিষ্কার করলে উপকার পাবেন। প্রতিদিন ক্র্যাক ক্রিম লাগালে পা ফাটা চলে যাবে।
খেয়াল রাখুন: যে কোনো টক ফল অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন। খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। চাইলে হালকা খাবার খেতে পারেন। টাটকা মেহেদি পাতার রস হাত ও পায়ের তালুতে লাগালে জ্বালা-পোড়া কমবে। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম আঙুর খেলেও জ্বালা কমকে। এছাড়া পায়ের ফাটা ভাব কমলেও হাতের কোমল ভাব বজায় থাকবে। ডায়াবেটিক রোগী যারা তাদের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে পায়ের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আবার যাদের হাতের তালু ঘামে তারা তেজপাতা জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে কিছুক্ষণ হাত ভিজিয়ে রাখলে ঘাম কমবে।
এইচএন/এমএস