চুলের জন্য বাড়তি যত্ন
চুল কেন পড়ে যাচ্ছে সেই দুশ্চিন্তা থেকেই অনেকের চুল পড়ে যায়! অনেকে বুঝে উঠতে পারেনা কী কারণে চুল পড়ছে। শরীরের অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক সমস্যা থেকে চুল পড়তে পারে। খাবারে অনিয়ম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা চুল ঝরার কারণ হয়। পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে চুলের গোঁড়া মজবুত হতে পারেনা। তাই চুলের জন্য প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্নের।
নারিকেল তেল একমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান যা চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। নারিকেল তেল হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নারিকেল তেল মাথার তালুতে ও চুলের গোড়ায় মালিশ করলে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই তেল প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চুলকে রক্ষা করে।
খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে। মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠান্ডা হয়। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালোভেরার রস পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। এতে চুল ঝরঝরা ও উজ্জ্বল হবে।
রসুন চুল পড়া কমায়, খুশকি দূর করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ও চুলের সংক্রমণজাতীয় সমস্যারও সমাধান করে। এ ছাড়া এটি চুল নরম ও মসৃণ করতেও কার্যকর। চুলে কয়েকভাবে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া রোধের একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি হল কাঁচা রসুনের সিরাম।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে ব্যবহৃত অনেক টনিকেই পেঁয়াজের রস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি ক্লিনিকালই পরীক্ষিত যে চুল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পেঁয়াজের রস দারুণ কার্যকর।
শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল ভেঙ্গে পড়ে। আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত আমলকী খাওয়ার মাধ্যমে চুলের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। আমলকীতে থাকা প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট অকালে চুল পাকা রোধ করে।
যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।
মাসে দুইবার মেহেদি ব্যবহার করে পেতে পারেন সবল, চিকচিকে ও লম্বা চুল। চুলের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে হারানো স্বাস্থ্য ফেরাতে সাহায্য করে। মাথার তালুতে অ্যাসিড-আলকালাইনের ভারসাম্য পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে। আমলকী মেশানো পানিতে দুইঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মেহেদি পিষে নিন। এবার মাথার তালুসহ চুলে লাগান। ভালো ফল পাবেন।
এইচএন/জেআইএম