পায়ের রোদে পোড়া দাগ দূর করবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৭

মুখের দিকে নজর রাখলেও আমরা অনেকেই পায়ের দিকে নজর রাখতে ভুলে যাই অর্থাৎ ঠিকঠাকভাবে পায়ের যত্ন নেয়া হয়ে ওঠে না। সঠিক যত্নের অভাব বলুন আর বেখেয়ালেই বলুন, আমাদের পা তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। রৌদ্রের তাপে পুড়ে পায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যাওয়াও নতুন কিছু নয়। তবে যদি চান আপনার পা রোদের তাপে পুড়ে কালো না হয়ে যাক, তবে নিতে হবে কিছু যত্ন।

লেবুর রসে অ্যাসিড রয়েছে এবং এর ব্যবহার আপনার শুষ্ক ত্বককে আরো শুষ্ক করে তুলতে পারে। তবে খানিকটা লেবুর রসের সাথে তার ৫-৬ গুণ বেশি পানি মিশিয়ে তারপর সেটাতে তুলো ভিজিয়ে যদি ভেজা তুলোটা আপনার রোদে পোড়া স্থানে লাগান তাহলে ধীরে ধীরে পোড়াভাবটা কেটে যাবে। এছাড়াও, এই মিশ্রণটিকে বরফ করেও ত্বকে ঘষতে পারেন আপনি।

টমেটো সানস্ক্রীন হিসেবে ভালো কাজ করে। এছাড়াও বয়স আর রোদেপোড়া দাগ দূর করতেও বেশ ভালো ফলাফল দেয় এই জিনিসটি। তবে পায়ের কালচেভাব দূর করার জন্যে অনেক বেশি উপকারী টমেটো। প্রতিদিন চেষ্টা করুন সম্ভব হলে টমেটোর পেস্ট পায়ে লাগানোর। এটি পায়ের মরা কোষগুলোকে দূর করে দেবে, সেই সাথে দূর করবে আপনার পায়ের কালচে ভাবকেও।

পায়ের চামড়া কালো হয়ে গেলে নারকেলের পানির চাইতে ভালো কোনো প্রতিষেধক হতেই পারেনা। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আপনার পাকে নারকেলের পানি দিয়ে ম্যাসাজ করুন। গোসলের আগে কাজটি করে ফেলুন আর কিছুদিন পরপর করার চেষ্টা করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।

পাকা পেঁপে রোদে পোড়া চামড়ার জন্যে বেশ কার্যকরী। রোদে পোড়া চামড়ার ওপর খানিকটা পাকা পেঁপের পেস্ট লাগিয়ে নিন আর সেটাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কেবল পায়ের রোদেপোড়া ভাবই নয়, রোদ থেকে জন্ম নেওয়া ভাঁজকেও দূর করে দিতে সক্ষম পেঁপের পেস্ট।

ঘরে বসেই মসুর ডাল আর মধু দিয়ে তৈরি একটি প্যাক বানিয়ে ফেলুন আর সেটিকে লাগিয়ে নিন পায়ের কালো চামড়ার ওপর। এক্ষেত্রে মসুর ডাল গুড়ো করে নিতে হবে আর তারপর সেটার সাথে মেশাতে হবে খানিকটা মধু। এরপর সেটিকে লাগাতে হবে পায়ে। অন্তঃত ২০ থেকে ২৫ মিনিট অব্দি পায়ে লাগিয়ে রাখুন প্যাকটি। চেষ্টা করুন সপ্তাহে কম করে হলেও তিনবার এই প্যাকটি লাগাতে। এতে করে খুব দ্রুত ফল পাবেন।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।