রঙিন চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ১০ মে ২০১৫

পছন্দের রঙে চুল রাঙিয়ে নিচ্ছেন এ সময়ের তরুণ-তরুণীরা। তবে শুধু পার্লারে গিয়ে চুল রঙিন করলে হবে না, এর বাড়তি যত্নের বিষয়টিও জেনে নিতে হবে। নয়তো পছন্দের রঙিন চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কড়া রোদে রং করা চুল সহজেই খারাপ হয়ে যায়। চুলের রঙও হালকা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে রং করার আগেই আলট্রাভায়োলেট ফিল্টার আছে এমন পণ্য ব্যবহার করতে পারেন চুলে। এটি রোদের হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবে। সাঁতার কাটার অভ্যাস থাকলে সাঁতারের পর চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

রং করা চুলের ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। বিশেষ ধরনের কন্ডিশনারও বাজারে পাওয়া যায়; যা চুলের রং ঠিক রেখে পরিষ্কার করে। রং করা চুলের বেলায় মোছার ক্ষেত্রে তোয়ালে হাতে নিয়ে হালকাভাবে মুছে নিন; জোরে ঘষবেন না। এতে চুলের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যাবে, রং হালকা হয়ে যাবে। মাসে অন্তত একবার কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করান। চুলের রং ও স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

কালার করার আগেই চুল স্বাস্থ্যকর এবং ময়েশ্চারাইজড করার চেষ্টা করুন তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে থেকে। চুলে কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করবেন না।

চুল শক্ত করতে এবং ভলিউম বাড়াতে কালার করানোর আগে নিয়মিত ডিপ কন্ডিশন করুন। ডিম, কলা এবং টক দই সমান পরিমাণে একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম ও ময়েশ্চারাইজড করে।

কালার করা চুলের জন্য স্পেশালি কালার প্রোটেক্ট শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এসব শ্যাম্পু চুলের কালার ঠিক রাখে এবং চুল ময়েশ্চারাইজড করে।

কালার করা চুলে সপ্তাহে অন্তত একবার হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে এর জুড়ি নেই। পরিমাণমতো অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল এবং নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ভালোমতো ম্যাসাজ করুন। চুলের নিষ্প্রাণ ভাব দূর হবে এবং চুল সিল্কি করবে।

যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার বা চুল আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলোর ব্যবহারে চুল রুক্ষ ও ক্ষয় হয়।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।