যেসব প্রশ্নে বিব্রত পুরুষ মন
নারী আর পুরুষ নিয়েই গোটা সংসার। নারী-পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ খুবই স্বাভাবিক। আদিম অনন্ত প্রেমে, জোয়ার ভাটা আসে। যখন জোয়ারের টান থাকে, তখন প্রেমের লাইফলাইন দ্রুতগতিতে ছোটে। কিন্তু, পরস্পরের মধ্যে বিবাদ হলে শুরু হয় ভাটা। প্রেমের বয়স যতই হোক না কেন, এমন কিছু প্রশ্ন আছে যা পুরুষরা একদমই পছন্দ করেন না। একবার জেনে নিন, কী সেই সব প্রশ্ন!
তুমি একদমই মায়ের আঁচল ধরে থাকা ছেলে?
ছেলেরা কখনই এই কথাটি শুনতে পছন্দ করেন না। নারী সঙ্গী যদি কোনও পুরুষকে এই কথাটি বলে ফেলে, তাহলে সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়ে যাবে। কারণ, একজন পুরুষ নিজেকে স্বাবলম্বী-স্বয়ংসম্পূর্ণ পুরুষ হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করে। কিন্তু, মায়ের আঁচল ধরে থাকা ছেলে বলা হলে সেটা তার আত্মসম্মানবোধ ক্ষুণ্ণ করে। তাই, পুরুষরা এই কথাটি শুনতে খুবই অপছন্দ করে। এমনকি মায়ের আঁচল ধরে রাখা ছেলেরাও!
তুমি এত ঝগড়াটে কেন?
অধিকাংশ পুরুষই ‘ঝগড়াটে’ উপাধিটি শুধুমাত্র নারীদের কাঁধেই চাপিয়ে দিতে চান। কিন্তু, এই নেতিবাচক উপাধিটি যদি কোনও পুরুষকে দেওয়া হয়, তাহলে বিষয়টা পুরুষদের অপছন্দ করাটাই স্বাভাবিক। কোনও নারীর মুখ থেকে এধরণের উপাধি পেলে সহজে বিষয়টি মেনে নিতে পারেন না পুরুষরা।
তোমার থেকে আমি বেশি উপার্জন করি?
পৃথিবীর খুব কম পুরুষই কোনও নারীর মুখ থেকে ‘তোমার থেকে আমি বেশি উপার্জন করি’ কথাটি শুনতে পছন্দ করবে না। পুরুষরা আয়ের দিক থেকে সব সময়েই নারীদের থেকে এগিয়ে থাকতে চান। নারী সঙ্গীটি যদি বেশি আয় করে থাকেন তাহলে পুরুষরা অধিকাংশ সময়েই বিষয়টাকে সহজ ভাবে নিতে পারেন না।
তুমি অনেক পর্ন দেখেছ তাই না?
কম বয়সে অনেক পুরুষই পর্ন সিনেমা দেখে থাকেন৷ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে৷ কিন্তু, বিষয়টি কোনও নারীর কাছে স্বীকার করাটা খুবই লজ্জাজনক। আর তাই কোনও নারীর এই ধরণের প্রশ্নে পুরুষরা খুবই বিব্রত হয়ে থাকেন।
বিয়ের আগে ক’জন প্রেমিকা ছিল ?
বিয়ের আগে স্কুল-কলেজে একটু আধটু প্রেম হয়ত অনেকেই করেছে । কিন্তু , একটাও টেকেনি। ছোটবেলার এই ধরনের ইনফ্যাচুইয়েশন থাকলেও স্ত্রী যদি পুনরায় জিজ্ঞাসা করে, তার উত্তর দিতে গেলে পুরুষরা একটু মাথা চুলকে, ভেবে মন গলানো উত্তর দেন।
কী হয়েছে? বসের ঝাড়ি খেয়েছ?
কর্মক্ষেত্রের সমস্যাগুলোর কথা পুরুষরা সাধারণত নারীদেরকে জানাতে চান না। নারীসঙ্গীর কাছে পুরুষরা সাধারণত কর্মক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনীয়তা জাহির করে থাকেন। আর তাই কখনও অফিস থেকে ফিরে মন খারাপ থাকলে নারী সঙ্গীর এধরণের প্রশ্ন পুরুষদেরকে বেশ অপ্রস্তুত করে ফেলে।