জামরুলের গুণাগুণ
গ্রীষ্মকাল হলো ফলের মৌসুম। এসময় বাজারে প্রচুর ফলের দেখা মেলে। তেমনই একটি রসালো ফল জামরুল। জামরুল দেখতে অনেকটা নাশপাতির মতো, মোমের মতো সাদা। তবে আজকাল লাল, সবুজ নানা রঙের জামরুলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। দেশি জামরুল আকারে ছোট, স্বাদে পানসে। দেশে এখন কয়েক জাতের থাই জামরুল পাওয়া যায়।
এক জাতের থাই জামরুলের রঙ মোমের মতো সাদা, মুখের কাছে গোলাপি আভা। অন্য এক জাতের থাই জামরুলের রঙ সবুজাভ সাদা, অন্যটির রঙ দুধের মতো সাদা। তবে সব জাতের সেরা বড় আকার সাদা রঙের মিষ্টি থাই জামরুল জনপ্রিয় বেশি। গ্রীষ্মের প্রথম থেকে ফল ধরতে শুরু করে, বর্ষাতেও ফল ধরে। বছরে দু-তিন দফায় ফল ধরে। তবে বর্ষার জামরুলের স্বাদ কম হয়।
জামরুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে খনিজ পদার্থ রয়েছে কমলার তিন গুণ এবং আম, আনারস ও তরমুজের সমান। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ লিচু ও কুলের সমান এবং আঙুরের দ্বিগুণ। আয়রনের পরিমাণ কমলা, আঙুর, পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়েও বেশি। ফসফরাসের পরিমাণ আপেল, আঙুর, আম ও কমলার চেয়ে বেশি।
এই ফলটিতে আছে ক্যালরিশক্তি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, খাদ্যআঁশ, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি নানা উপাদান। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে জামরুলের জুড়ি নেই।
জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। ভিটামিন সি এবং ফাইবারসমৃদ্ধ জামরুল হজমশক্তি বাড়াতে দারুণ সহায়তা করে। তাই যাদের পেটে হজমের সমস্যা আছে তারা বিনা দ্বিধায় জামরুল খেতে পারে।
যারা কোলেস্টরেল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে তারা জামরুল খেলে উপকার পাবে। যারা ডায়াবেটিস নিয়ে শঙ্কায় আছে, তারা ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জামরুল খেতে পারে। নির্ঘুম কিংবা দুশ্চিন্তায় যাদের চোখের নিচে কালি পড়েছে তারাও জামরুল খেতে পারেন।
এইচএন/এমএস