কর্মক্ষেত্রে চাপমুক্ত থাকতে যা করবেন
প্রতিষ্ঠিত হতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সাফল্য পেতে দিনরাত ছুটছি আমরা। পেশাদার হিসেবে সাফল্য পাওয়ার চূড়ান্ত বাসনার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ। সব কিছু মিলিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের হাল একেবারে বেহাল।
দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাশা-উচ্চাকাঙ্খা ব্যালেন্স করতে করতে মানসিক স্থিতিটাই যেন মাঝেমধ্যে বেসামাল হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাজের মানও। কিন্তু তা বলে তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সামনে এগোতে হবে।
এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে চাপমুক্ত থাকার কিছু কৌশল পাঠকদের জন্য :
এক. কাজে কখনই ধৈর্য হারাবেন না। একটা ঘটনা ঘটলে কোনো কিছু ছুড়ে ফেলতে ইচ্ছে মনে আসেতই পারে! কিন্তু ভুলেও কাজে তা করে দেখাবেন না! তাহলেই কেরিয়ারের সর্বনাশ। এ সময়টাতে বরং অন্য কিছু নিয়ে ভাবুন। ভালো ভাবনা মনে না আসলে রিভার্স কাউন্টিং করুন ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত। কোনো কিছুতেই কাজ না হলে সেই জায়গা থেকে সরে অন্য কোথাও যান। দেখবেন আস্তে আস্তে রাগটা কমে গেছে।
দুই. রোজ কি কি কাজ করতে হবে তার একটা চেকলিস্ট আগে থেকেই বানিয়ে রাখুন। এক্ষেএে প্রয়োজনীয় কাজগুলোকে আগে প্রাধান্য দিন। এতে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে সুবিধে হবে।
তিন. কমিটমেন্ট ফেল করবেন না কখনোই। সবসময় মিটিং অথবা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়ের খানিকটা আগেই পৌঁছে যেতে চেষ্টা করবেন। যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয় সেটা আপনার কলিগদের সময় থাকতেই জানিয়ে দিন। এতে করে আপনার জন্য কোনো কাজের ক্ষতি হবে না।
চার. হাতের পাঁচ আঙুলের মতো অফিসেও সব কলিগ মনের মতো হবে না। তাই যে যেমন তার সঙ্গে তেমন ভাবেই মিশুন। অতিরিক্ত কোনো এক্সপেকটেশন কারো থেকে রাখবেন না। কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে মেলাবার মতো ভুলটাও করবেন না।
পাঁচ. কর্মক্ষেত্রে ইগো মাথাচাড়া দিলেই ক্যারিয়ারের সর্বনাশ। খেয়াল রাখবেন, কোম্পানির সাফল্য এবং আপনার ব্যক্তিগত সাফল্য দুটোই কিন্তু টিম ওয়ার্কের ওপরেই নির্ভর করে।
ছয়. সাফল্য পেতে চাইলে আগে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন। কারণ লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলে অবসাদ বাড়বে বই কমবে না।
প্রত্যেকের চাপ হ্যান্ডেল করার এক রকম নয়। এমন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রের চাপ যথাযথভাবে সামলাতে পারেন না। তারা উপরোক্ত বিষয়গুলো একবার মেনে চলেই দেখতে পারেন।