হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ০৩ মে ২০১৫

আমরা যা করি, যেভাবে জীবনযাপন করি এবং আমাদের খাদ্যাভ্যাস এই সবকিছুরই প্রভাব আমাদের হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। সুতরাং আমাদের হৃদপিণ্ডের সুস্থতা অনেকাংশেই আমাদের জীবনযাপনের সাথে সম্পৃক্ত। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উপায় যা আমাদের হৃদপিণ্ডের সুস্থতা নিশ্চিত করবে-

১. দিনে মাত্র ৩০ মিনিটের শারীরিক পরিশ্রম নিশ্চিত করবে হৃদপিণ্ডের সুস্থতা। যদি সকালে উঠে ১০-১৫ মিনিট হেঁটে নিতে পারেন, ঘরের কিছু কাজ নিজে করতে পারেন, কাজের ফাঁকে একটু উঠে দাড়িয়ে, বসে ব্যায়াম করে নিয়ে, অফিস থেকে ফেরার পথে হাঁটেন তাহলেই কিন্তু আপনার শারীরিক পরিশ্রমের বিষয়টি সঠিকভাবেই হয়ে যায়।

২. মানসিক চাপের অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে আমাদের হৃদপিণ্ডের ওপর। তাই মানসিক চাপটাকে একটু নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, পছন্দের কাজ করা, পছন্দের গান শোনা ধরণের কাজ করতে হবে।

৩. ওজন বাড়া এবং দেহে মেদ জমা কার্ডিওভ্যস্কুলার রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। অতিরিক্ত ওজন হৃদপিণ্ডের উপর অনেক বাড়তি চাপ ফেলে, এতে ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ড নিজের কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। তাই নিজের ওজনটার দিকে একটু বিশেষ নজর দিনে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যান।

৪. কার্ডিওভ্যস্কুলার স্পেশালিষ্টদের মতে, ‘ধূমপান কার্ডিওভ্যস্কুলার রোগের ঝুঁকি প্রায় ৪ গুণ বাড়িয়ে তোলে’। গবেষণায় দেখা যায় ধূমপানের ফলে হৃদপিণ্ড জনিত সমস্যা বেড়ে যায় প্রায় ৩০%। তাই ধূমপান না করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং ধূমপান ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করুন।

৫. আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণেও হৃদপিণ্ড ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। তাই নজর দিতে হবে খাদ্য তালিকার দিকেও। ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। কলেস্টোরলযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন। লবণ এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত খাবার পরিমিত খান, মাছ এবং মাছের তেল রাখুন খাদ্যতালিকায়।

৬. বয়স ভিত্তিতে বছরে ২/১ বার ডাক্তারের কাছে যান নিয়মিত চেকআপের জন্য। বিশেষ করে বংশে কারো কার্ডিওভ্যস্কুলার রোগ জনিত সমস্যা থাকলে একটু বিশেষ নজ্র দেয়া উচিত নিজের দিকে। এতে করে হয়তো কোনো রোগ মারাত্মক আঁকার ধারণ করার আগেই চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে।

এইচএন/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।