যে কারণে কিশমিশ খাবেন
আঙ্গুর খেতে অনেকে ভালো না বাসলেও কিশমিশ খেতে প্রায় সবাই ভালোবাসে। এর মিষ্টি আর টক ভাব মুখের জড়তা কাটাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি আবার খাবারের স্বাদ বাড়াতেও সাহায্য করে। খাবার সাজানো থেকে শুরু করে এটিকে আপনি আপনার খাবার টেবিলে ডেজার্টের সঙ্গেও হিসেবে পরিবেশন করতে পারেন। তবে এই কিশমিশ দেখতে ছোট হলেও এতে লুকিয়ে আছে অনেক গুণ। চলুন জেনে নেই-
শরীরের কোথাও কেটে গেলে তা নিয়ে শুরু হয় নানা চিন্তা। তাতে কী ঔষধ লাগানো যায় কিংবা ডাক্তাতের কাছে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা মাথায় লেগে থাকে। কিন্তু আপনার ঘরে থাকা কিশমিশে আছে তার সমাধান। মূলত এটি আপনার শরীরের এন্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।
কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে আর ঘা দ্রুত সারিয়ে তোলা।
গরমে আরাম দিতে পারে এই ছোট এক টুকরো কিশমিশ। যাদের শরীর দূর্বল, রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য মহা ঔষধ হচ্ছে কিশমিশ।
এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এমনকি এটি বিষণ্নতাও দূর করে থাকে। এছাড়া কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
আশঁযুক্ত খাবারের চাহিদা দূর করে কিশমিশ। কিশমিশে আছে আঁশ বা ইনসলিউবল ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও হজম করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিশমিশে থাকা এই আঁশ কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
কিশমিশের অ্যান্টি-কোলেস্ট্ররেল উপাদান রক্তের খারাপ কোলেস্ট্ররেল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্ট্ররেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে।
হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে কিশমিশের তুলনা নেই। হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাব। এছাড়া খনিজ লবনের অভাবে অস্টিওপরোসিস যা এক প্রকারের হাড় ক্ষয় রোগ তাও কিশমিশ দূর করতে সাহায্য করে।
কিশমিশে বিদ্যমান বোরন অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিশমিশ দারুণভাবে কাজ করে। কিশমিশের প্রধান উপাদান পটাশিয়াম সোডিয়াম রক্ত চাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বিষাক্ততা ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
এইচএন/এমএস