কলা খেয়ে সুস্থ থাকুন
বাজার অফিসের মাঝখানে থেকে সারাদিনের ক্লান্তি মেটাতে ও শরীরের এনার্জি আনতে কলার জুরি মেলা ভার। কলাতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম থাকে৷ যা পুরুষদের ক্ষেত্রে তাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হৃদস্পন্দন এর মাত্রা সঠিক রাখে। কলাতে ভিটামিন বি-সি থাকায় তা শরিরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তের লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তাই সকাল হোক বা বিকেলের টিফিন কলাকে রোজ একটা ফল হিসেবে খেতেই পারেন। বিশেষ করে ব্রেক ফার্স্টের প্লেটে দুধ ফ্লেক্সের সঙ্গে ফ্রুট হিসেবে একটা কলা রাখতেই পারেন।আর যারা নিয়মিত জিম বা অন্য ধরনের ব্যায়াম করেন তাদের জন্যও রইল কলা৷ কারণ, কলাতে প্রচুর এনার্জি থাকে৷ দুধের সঙ্গে মিশে খাওয়া গেলে তা হতে প্রায় পুরোপুরি সুষম খাদ্য পাওয়া যায়।
# কলা নিরাপদ হজমের জন্য পথ্য হিসাবে কাজ করে।
# কলা নরম হওয়ার কারণে হজম শক্তির কাজে বাড়তি ঝামেলা দেখা দেয় না।
# দীর্ঘকাল স্থায়ী আলসার রোগের ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা ছাড়াই কলা খাওয়া যায়।
# কলা পরিপাকতন্ত্রের অতিরিক্ত অম্লত্ব নিরসন করে। এটি পাকস্থলীর আভ্যন্তরীণ দেয়ালের আস্তরণের ওপর একটি আবরণ সৃষ্টি করে আলসারের উত্তেজনাকে প্রশমন করে।
এছাড়া কলা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়েরিয়ায় মত রোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলা যেহেতু পেকটিন সমৃদ্ধ যা জলে দ্রবনীয়, তাই এই দুই ক্ষেত্রেই কলার ভূমিকা সমান দরকারি। তাছাড়া কলা পেটের ক্ষতিকারক জীবানুকে উপকারী ব্যাকটেরিয়াতে পরিণত করতে পারে। কলা গেটে বাত ও বাতের চিকিৎসায় সবিশেষ উপকারী।
কলাতে উচ্চ পরিমাণ আয়রন থাকাতে তা এ্যানিমিয়ার চিকিৎসার জন্য উপকারী। কারণ তা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কলা ও দুধের মিশ্রণ শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট চিকিৎসার ক্ষেত্রে ১০-১৫ দিন প্রতিদিন ৬টি কলা এবং চার গ্লাস দুধ খাওয়া যেতে পারে।