খুলনায় টিকেটের জন্য লড়াই
খুলনার মাঠে খেলা হবে, আর সেই খেলা মাঠে বসে দেখা যাবে না, তা হতেই পারে না। টিকেট নামের সোনার হরিণটা জোগাড় করতেই হবে। আর সে জন্য কাক ডাকা ভোরেই ব্যাংকের সামনে হাজির হয়েছেন খুলনাবাসী। টিকেটের জন্য ভোর হতেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। ঠেলাঠেলি আর হুড়োহুড়ি লেগেই আছে। মাঝে মাঝেই চিৎকার করে উঠছেন সবাই।
উদ্দেশ্য একটাই বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট ম্যাচ দেখতে হবে স্টেডিয়ামে বসে। সব বাধা উপেক্ষা করে বাঁশের দেওয়া সাময়িক প্রাচীর টপকিয়ে কে আগে ছিনিয়ে আনতে পারে সোনার হরিণ টিকিট সে প্রতিযোগীতা চলেছে।
টিকিট কেনার এ লড়াই চলছে খুলনায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) খানজাহান আলী ও কেডি ঘোষ রোডস্থ শাখায়।
এত দীর্ঘ লাইন ভোর থেকে অপেক্ষার প্রহর। তবুও ক্লান্তি নেই টিকিট কিনতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের।
টিকিট কিনতে আসা মাহাবুব মুন্না, সাবরিনা সুলতানা, তোহফা বলেন, ফজরের আজানের পর টিকিট কিনতে এসেছি। এখনও টিকিটের কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। সেখানে পৌঁছানোর অপেক্ষায় লম্বা লাইনে দাড়িয়েছি।
টিকিট কিনতে আসা সিটি কলেজের ছাত্র নূর মোহাম্মাদ জানান, টিকিট যে করেই হোক নিতে হবে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা ভবিষ্যতে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখছি। আশা করি এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টির মতই টেস্ট ম্যাচেও বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে।
ক্রিকেটপ্রেমী ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন, সাতক্ষীরা থেকে ছুটে এসেছি ক্রিকেট খেলা দেখতে। রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। ভোরে চলে এসেছি টিকিট কিনতে। এত দীর্ঘ লাইন জানি না টিকিট পাব কি না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো খেলছে। আমাদের সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য অনেক ভালো খেলে। তাই বাড়িতে আর বসে থাকতে পারলাম না। বাড়ির ছেলেকে মাঠে দেখতে পাব তাও আবার খুলনার মাঠে। সৌম্য আমাদের সাতক্ষীরার যেমন গর্ব তেমনি সারা বাংলাদেশেরও গর্ব।
খুলনার খানজাহান আলী রোডস্থ ইউসিবি ব্যাংকের প্রধান শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব ফারুকি বলেন, সকাল ১০টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আমাদের এ শাখায় ৩০০০ টিকিট বিক্রি হবে ও আরেকটি শাখায় ইউক্যাশের মাধ্যমে ৪০০০ হাজার টিকিট বিক্রি হবে। যতক্ষণ টিকিট থাকবে বিক্রি করার চেষ্টা করব বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এমএএস/আরআইপি