মালয়েশিয়ার ফ্যাশন ঐতিহ্য


প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৭

চাঁদ, সূর্য আর লাল রঙের বেশকিছু ডোরাকাটা দাগ দিয়ে বেষ্টিত দেশটির পতাকা। দেশটি পরিচিত এশিয়ার খাদ্যস্বর্গ হিসেবে। আর এই দেশের নাম মালয়েশিয়া। তেরটি রাষ্ট্র এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়া হলো ফেডারেল সরকারের রাজধানী। দক্ষিণ চীন সাগর দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া এবং পূর্ব মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যা ২৮ মিলিয়নের অধিক। মালয় ভাষা মালয়েশিয়ার সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় অর্ধেক সংখ্যক লোক মালয় ভাষায় কথা বলে। মালয়েশিয়াতে আরও প্রায় ১৩০টি ভাষা প্রচলিত আছে। দেশটি তার নিজস্ব সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের কাছে পছন্দের একটি স্থান। অনেক ধর্মের মানুষের বসবাস এই দেশে। যার ফলে নানা সংস্কৃতি, ভাষা, খাবার এবং পোশাকের ক্ষেত্রে আছে নানা বৈচিত্র্য। আর এই ফ্যাশন, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আজকের দেশে দেশে ফ্যাশন বৈচিত্র্য।

মালয়েশিয়ার মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা তাদের এই ভাতকে রাইস বোল হিসেবে জানে। তারা ভাত দিয়ে নানা ধরনের খাবার তৈরি করে থাকে, যার মধ্য কেটুপাত অন্যতম। পাতার ভেতর মুড়ে ভাত দিয়ে খাবারটি তৈরি করতে হয়। এছাড়া তাদের খাবারের তালিকায় আছে আঁকার, মি সিপূত, আম্বুয়াত, বাক কুট টে।

পোশাকের ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়েরা আলাদা পোশাক পরে থাকে। মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধরনের পোশাক আছে যার নাম বাজু কুরুং। এটি হাঁটু পর্যন্ত লম্বা স্কার্ট এর উপরে ব্লাউজের মতো একটি পোশাক। এই ব্লাউজটি হয়ে থাকে লম্বা আর কলার ছাড়া। এই পোশাকের সাথে পরিহিত স্ক্রার্টটিকে শুধু কাইন বলা হয়। ছেলেদের পোশাকের নাম বাজু মিলাইউন। এটি হাঁটু পর্যন্ত একটি প্যান্ট কিংবা ট্যাউজারের উপর শার্ট পড়তে হয়। মেয়েরা মাঝে মাঝে তাদের মাথায় স্ক্রাপ পরে থাকে। এসবের সাথে সাথে মেয়েদের আরেকটি পছন্দের পোশাক হলো কেবায়া। এটি আঁটসাঁট ধরনের পোশাক। এর দুটি পার্ট থাকে।

মুসলিম মেয়েরা পোশাকের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা ভাবে নিজেদের পোশাক নির্বাচন করে থাকে। মেয়েরা লম্বা প্যান্ট সাথে লম্বা শার্ট আর মাথায় স্কার্ফ পের থাকে। এছাড়া তারা তাদের ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে থাকে। আর ছেলেরা বাটিকের শার্ট পরতে ভালোবাসে।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।