যে কারণে মাশরুম খাবেন


প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ২০ মার্চ ২০১৭

মাশরুম একপ্রকার মৃতজীবি ছাত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ। যেসব ছত্রাক মানুষের খাওয়ার উপযোগী, নিরাপদ, পুষ্টিকর ও সুস্বাস্থ্যকর তাই মাশরুম হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের সর্বাধুনিক পদ্ধতি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপন্ন বীজ দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সযত্নে চাষ করা হয় মাশরুম। বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০০ টি দেশে মাশরুম চাষ হয়। এটি আমাদের খাদ্য তালিকায়ও জায়গা করে নিতে পেরেছে।

পুষ্টিমান :
১০০ গ্রাম মাশরুমে আমিষ ২৫-৩৫ গ্রাম, ভিটামিন ও মিনারেল ৫৭-৬০ গ্রাম, শর্করা ৫-৬ গ্রাম, চর্বি ৪-৬ গ্রাম।

উপকারিতা :
আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের সমন্বয় রয়েছে মাশরুমে। যা শরীরের ’ইমুন সিস্টেম’কে উন্নত করে। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুরা নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশী থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ খাবার।

মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকাতে, বর্তমানে এটি বিশ্বে এইডস প্রতিরোধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইলুডিন এম এবং এস থাকাতে আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম, যা হজমে সহায়ক, রুচি বর্ধক ও পেটের পীড়া নিরাময়াক। মাশরুমে নিউক্লিক এসিড এবং এন্টি-এলার্জেন থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।

প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড ও লৌহ রয়েছে মাশরুমে। ফলে মাশরুম খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়। এছাড়া লিংকজাই-৮ পদার্থ থাকায় হেপাটাইটিস বি জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। এটি ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকার রাখে।

মাশরুমে আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভস্টটিন এবং এনটাডেনিন। তাই নিয়মিতহ মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপ নিরাময় করে। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি থাকায় এটি শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত কার্যকর।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।