ঘর সাজাতে কর্নার টেবিল


প্রকাশিত: ০৭:১৮ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৭

শিল্পচর্চার মাধ্যমে কখনো কখনো কুঁড়েঘরকেও নিজের মতো সাজিয়ে বিশাল অট্টালিকায় পরিবর্তিত করা যায়। ঘর যেমন সাজানো যায় নানা রঙের বাতি, ওয়ালমেট কিংবা ফুলের ঝাড় দিয়ে তেমনি সাজানো যায় সোপিস দিয়েও। আপনার ঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে সোপিসের তুলনা নেই। ঘরের একটি কোনায় থাকা সোপিসটি আপনার ঘরের সৌন্দর্য যেমন একদিকে বৃদ্ধি করছে তেমনি আপনার রুচিবোধের একটি ছাপ রেখে যাচ্ছে আপনার প্রতিটি কাজের মাধ্যমে।

তবে এই সোপিসের ক্ষেত্রেও আছে তারতম্য। সোপিস বলতেই আমরা কেবল ঘরের এক কোনে রাখা বা থাকা কাঁচের কিংবা মাটির অথবা চীনামাটির নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের মূর্তি কিংবা নানা ধরনের ঘর, পুতুল কিংবা নানা অবয়বকে বুঝি। তবে এর বাইরেও আছে আরো সোপিস। এগুলো হয়ে থাকে বিশাল বিশাল আকৃতির। এগুলোর মধ্যর কর্নারে থাকা পাতলা এবং দেখতে বেশ চিকুন আকৃতির টেবিল অন্যতম। এগুলো হয়ে থাকে অ্যান্টিক সোপিস। এগুলো কেবল আপনার ঘরের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না সাথে সাথে ঘরে আনে এক ভিন্ন ধারা আর আপনার রুচিবোধের মাঝে এক বিশাল পার্থক্য।

কর্নারে থাকা এই টেবিল গুলোর উপরে আপনি রাখতে পারেন সুন্দর একটি রিসিভার ফোন কিংবা কাঁচের একটি সুন্দর ফুলদানী। এই টেবিলের উপরে থাকে ছোট একটি গোলাকার কাঁচ আর নিচের পায়াটি থাকে বিশাল আকৃতির। তাতে খোঁদাই করে আঁকা থাকে নানা কারুকাজ।

এই সমস্ত টেবিলের উপর রাখতে পারেন বিশাল বিশাল আয়নাও। এই আয়নাতেও থাকে নানা কাজ, যেমন লতাপাতা, কিংবা কোনো গৃহবধূ, কাঁথার বুকে সুঁই আর সুতার সই পাতাতে থাকা গ্রামের ঘোমটা মাথায় দেওয়া বউ।

সোপিস টেবিলের যে জায়গাটিতে থাকে বসানো আয়নাটি তার ভিত্তি থাকে কখনো কাঠের অথবা কাঁচের। এর আয়তন হয়ে থাকে ছোট। তবে এর পায়াতে থাকে নানা কারুকাজ। কখনো এটি গাছের মূলের মতো বিশাল হয়ে ছড়িয়ে থাকে মেঝেতে বা কার্পেটে অথবা একটির উপর আরেকটি বেনির মতো পেঁচিয়ে থাকে। তাতে আবার রঙের সাহায্যে আনা হয় বৈচিত্র্য।

কোথায় পাবেন :  বিভিন্ন অ্যান্টিকের দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের এই অ্যান্টিক টেবিল সোপিসগুলো। এই অ্যান্টিক সোপিস টেবিলের দাম সাত হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।