লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি


প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৪

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে লালমনিরহাটে তিস্তা, সানিয়াজান, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার ভোর থেকে বন্যা পরিস্থিতি’র আরও অবনতি ঘটেছে। এতে দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ হুমকির সম্মখীন দেখা দেয়ায় ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম ছিটমহলসহ গোটা জেলার ৬০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে পানি বন্দিদের মাঝে। গত ৪ দিন ধরে এ জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় পড়ে থাকলেও তাদের মাঝে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায় নাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা দোয়ানী-ডালিয়া শাখা’র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে কাদা যুক্ত পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ৪ দিন ধরে পানি বিপদ সীমার ৪০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ব্যারাজের উজান ও ভাটিতে অসংখ্য গ্রামের মানুষজন গত ৪ দিন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার হেক্টর আবাদী জমি পানিতে ডুবে গেছে।

ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। পানির গতি বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তা ব্যারাজ। ব্যরাজ এলাকায় রেড এলার্ট জারী করা হয়েছে। মাইকিং করে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হচ্ছে। আতংকিত হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের লোকজন।

এ দিকে তিস্তার পানি সানিয়াজান, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সতী নদীতে প্রবেশ করায় ওই সব নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলোর হাজার হাজার বসত বাড়িও পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ধরলা নদীর পানিও হঠাৎ করে বেড়ে যায়। ওই পানি সানিয়াজান নদী প্রবেশ করায় বেশ কিছু নতুন অঞ্চল পানি বন্দি হয়ে পড়ে।

হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জানান, ওই উপজেলার ৬ ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি লোকজনদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ জরুরী হয়ে পড়েছে। চর অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। ওই এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসা গুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি বন্যা পরিস্থিতি’র খোজঁ খবর নিচ্ছেন। ত্রাণের জন্য উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করা হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।