শিশুকে যা খাওয়াবেন


প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ১১ মার্চ ২০১৭

অনেকেই মনে করেন যে শিশুকে সঠিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার দিতে হলে বুঝি দামী খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার দামী হলেই যে তা সবসময় ভালো খাবার হবে, এর কোনো মানে নেই। কম দামের খাবার থেকেও দেহের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাপাদান পাওয়া যেতে পারে। মাছ, মাংস ও ডিমের দাম বেশী; এ সমস্ত আমিষ জাতীয় খাদ্যের অভাব আমরা কম দামের খাদ্য, যেমন ডাল, সিম, ছোলা ইত্যাদি দিয়ে পূরণ করতে পারি। হয়তো অনেকেই জানেন না যে, ডালে প্রচুর আমিষ থাকে, ডাল থেকে ভিটামিন এবং খণিজ লবণও পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই আরো কিছু খাবারের কথা যা আপনার শিশুটিকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।

দই একটি মজাদার খাদ্য হতে পারে যখন আপনার শিশুটি নতুন খাবার খেতে শিখবে। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্রেইন এবং হার্ট এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ১ টি চমৎকার উৎস যা শিশুর হাড় এবং দাঁত ঠিক রাখে। তাছাড়া তা খাদ্য নালীতে উপকারী অনুজীব সৃষ্টি করে যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে। কলা চটকে, দই মিশিয়ে শিশুকে দেয়া যেতে পারে।

মাংস আমিষের পাশাপাশি জিঙ্ক এবং আয়রনের ভালো উৎস। তাই মাংস বাচ্চাকে দেয়া উচিত। মাংসকে ভাপে সেদ্ধ করুন। ভাপে সেদ্ধ খাবার সহজে করা যায়, সহজে খাওয়া যায় এবং তাতে পুষ্টি উপাদানগুলো থেকে যায়। এর সাথে একটু আদা দিন এবং ইচ্ছে করলে সবজিও মেশাতে পারেন এটি শিশুর জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।

আমিষ এবং আঁশে পূর্ণ খাবার হল ডাল। এটি ১ টি ফুল প্যাক পুষ্টিকর খাবার এবং সেই সাথে দামে সস্তা খাবারের মধ্যে ডাল উত্তম। ডাল, চালের খিচুরি আমাদের দেশের জনপ্রিয় খাবার। তাছাড়া যে কোনও সবজির সাথে মিশিয়ে সেদ্ধ করে ডাল দেয়া যায়।

কালো আঙুর এর গাঢ় নীল রঙ এ আছে এন্থসায়ানীন ফ্লেভনইড যা শিশুর চোখের জন্য ভালো। ব্রেইন উন্নয়নে এবং মূত্রনালীর গঠনে ভুমিকা রাখে। ফালুদা করে দিতে পারেন। চার ভাগের ১ কাপ আঙুরকে ১ টেবিল চামচ পানির সাথে মিশিয়ে ১টি বাটিতে নিয়ে ওভেনে ৩০ সেকেন্ড রেখে মিশিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। তারপর এর উপর একটু মিষ্টি দই ছড়িয়ে দিন।

ব্রকলিতে রয়েছে ফলেট, ক্যালসিয়াম এবং সালফার কম্পাউন্ড। ব্রকলিকে ক্যান্সার প্রতিরোধ খাদ্যও বলা হয়। এর একটি চমৎকার ফ্লেভার আছে যা বাচ্চার স্বাদে পরিবর্তন আনতে সক্ষম। ব্রকলিকে ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ না সেটি নরম হয়ে যায়। এটি হালকা করে দানা লাগে, তাই অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা সেটি পছন্দ সহকারে গ্রহণ করে।

আলুবোখারাতে রয়েছে আঁশ যা কন্সটিপেশন সারাতে সাহায্য করে। এটি দিয়ে পানি শিশুকে শক্ত খাবারের সাথে পরিচয় করাতে পারেন। আলুবোখারাকে যেকোনও খাবারের সাথে মিশিয়ে দিন। এতে ১ টা আচারের স্বাদ আসে যা শিশুরা পছন্দ করে। যদি বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তবে তাকে ২টি আলুবোখারার জুস খাবারের সাথে মিশিয়ে দিন।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।