ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়
কম ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকেই। নানারকম প্রচেষ্টার পরও ওজন বাড়ছে না এরকম অভিযোগও শোনা যায় অনেকের মুখে। খাবারের তালিকা থেকে শুরু করে নিত্যদিনকার বিভিন্ন অভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে আপনি সহজেই পেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ওজন। আর সেজন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু নিয়ম মেনে চললেই ওজন বাড়ানো সম্ভব।
প্রক্রিয়াজাত খাবারে খারাপ ফ্যাট থাকে বলে এগুলো থেকে দূরে থাকুন। ভালো ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন- চীনাবাদাম, কাজুবাদাম ও অলিভ ওয়েল, দই, ফ্রুট পাই ইত্যাদি খান।
প্রোটিন শরীরের মাংসপেশি, অস্থি, ত্বক, চুল ও রক্তের গঠনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাংস, মাছ, দুধ, ডিম, পনির খান।
যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য অবশ্য পালনীয় একটি নিয়ম হচ্ছে দিনে কয়েকবার খাওয়া। অর্থাৎ আপনাকে দিনে ৫-৬ বার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
আপনার খাবার গ্রহণের সময় পরিবর্তন করুন। রাতের খাবার দেরি করে খান এবং তারপর ডেজার্ট খান। গবেষকেরা বিভিন্ন কারণের সমন্বয় করেছেন, তার মধ্যে টাইমিং একটি কারণ।
মাসেল গঠনে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য শর্করা প্রয়োজন। আপনার শরীরের শক্তির প্রধান উৎসই হচ্ছে শর্করা। বাদামী চাল, পাস্তা, আলু হোল গ্রেইন খাবার খান। এই খাবারে যে চিনি থাকে তা আস্তে আস্তে রক্তস্রোতে মিশে এবং দীর্ঘ সময় যাবত এনার্জি প্রদান করে।
ওজন বৃদ্ধি করার জন্য দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীর আরো বেশি খাওয়ার জন্য সিগন্যাল দিতে থাকে। যা আপনাকে বেশি খেতে সাহায্য করে। ঠিক একই কারণে যারা ওজন কমাতে চান তাদেরকে আস্তে আস্তে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়।
কার্ডিও ব্যায়াম করলে মাসেল গঠনে সাহায্য করে। পেশীর গঠনে সাহায্য করে এমন কিছু ভারোত্তলনের এক্সারসাইজ করতে পারেন। ঘরেই আপনি এই ধরণের এক্সারসাইজগুলো করতে পারেন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। ওয়ার্কআউটের পরেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। আস্তে আস্তে ব্যায়ামের সময় বৃদ্ধি করুন।
এইচএন/আরআইপি