গরমে সুস্থ থাকতে লিক্যুইড ডায়েট


প্রকাশিত: ০৭:৪২ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৫

শীতে যেমন মশলাদার বা জাঙ্ক ফুড খেয়েও আপনি সুস্থ থাকেন গরমে তেমনটা হওয়ার উপায় নেই। এদিকে পানির অভাব পূরণ করতে না পারলে কাহিল হয়ে পড়াটা আশ্চর্যের বিষয় হবে না। একই সঙ্গে ত্বক, চুল হয়ে উঠবে বিবর্ণ। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ ইউরিন বা ঘামের মধ্যে দিয়ে বের হতে না পেরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই গরমকে বিদায় জানিয়ে সুস্থ থাকার একমাত্র দাওয়াই হলো তরল জাতীয় খাবার খাওয়া। এক্ষেত্রে শুধু পানি নয় এই সময়ের ডায়েটে সলিড খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে লিক্যুইড খাবার রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। গরমে ফিট থাকতে আপন করে নিন লিক্যুইড ডায়েট। শরীর ঠাণ্ডা থাকবে। যা-তা খেয়ে শরীর খারাপের ভয়ও নেই-

যা খাবেন:

লিক্যুইড ডায়েটে কী কী থাকবে? ফ্রুট জ্যুস, ভেজিটেবল স্যুপ, সাইট্রিক ওয়াটার, লিক্যুইড বেভারেজ, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন, ডাবের পানি ইত্যাদি। এতে মিনারেল বা খনিজ পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলেও প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালোরির অভাব মিটবে কীভাবে? সবজি সিদ্ধ করে খান। সঙ্গে থাক কফি, গ্রিন টি, দুধ, লস্যি, টকদই, লবণ চিনির পানি, নিউট্রিশিয়ান সাপ্লিমেন্ট ড্রিঙ্ক, জিলেটিন, ভেজিটেবল পিউরি মেশানো স্যুপ।

কেন খাবেন:

১. যত তাপ বাড়বে ততই সলিড ফুড কমিয়ে ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ লিক্যুইড ফুডের ওপর ভরসা করা শ্রেয়। যারা একেবারেই তাপ সহ্য করতে পারেন না তাদের পক্ষে এই ডায়েট আদর্শ।

২. লিক্যুইড ডায়েটে পানি, জ্যুস, স্যুপ, মাঠা মিলিয়ে কম করে তিন লিটার তরল পদার্থ থাকবে।

৩. লিক্যুইড ফুড মানেই লিভারের বিশ্রাম। এতে কোলনও পরিষ্কার হয়ে যায়।

৪. দিনে প্রচুর লিক্যুইড ইনটেক করলে আপনা থেকেই দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে শরীর হয়ে ওঠে ঝরঝরে।

৫. প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং বিশেষ করে ফ্যাট কম খাওয়ার ফলে ওবেসিটি কমে যায়। যারা অতিরিক্ত মেদের সমস্যায় ভুগছেন তারা ওজন কমাতে এই ডায়েটের সাহায্য নিতে পারেন।

৬. লিক্যুইড ডায়েট গরমেও অ্যালকালাইন পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে শরীর কখনোই পানির ঘাটতি দেখা দেয় না। ত্বক থাকে নরম এবং উজ্জ্বল। অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমে যায়।

৭. তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা কমে। আর আপনি থাকেন এনার্জিতে ভরপুর।

এতো সুবিধা থাকা সত্ত্বেও লিক্যুইড ডায়েট সপ্তাহে এক-দুই দিনের বেশি না খাওয়াটাই উচিত। কারণ কোনও কিছুই তো অতিরিক্ত ভালো নয়। এই ডায়েটেরও সাইড এফেক্ট রয়েছে। শুধুই লিক্যুইড ডায়েট শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই লিক্যুইড ডায়েট নেয়ার আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।