ঘর সাজাতে আয়নার ব্যবহার


প্রকাশিত: ০৫:৫৬ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৭

চোখের কাজল দেওয়া থেকে শুরু করে ঘরের সাজ ফুটিয়ে তুলতে আয়নার তুলনা হয়না। একটি সময়ে মানুষ আয়না কেবল মুখ দেখার কাজেই ব্যবহার করতো। বাড়ির একটি নির্দিষ্ট ঘরে রাখা হতো আয়নাটি। সময়ের সূত্র ধরে পেছনে তাকালে দেখা যাবে আদিমযুগেও আয়নার কদর ছিল বেশ। তারা বালু গরম করে তা পুড়িয়ে আয়না তৈরি করতো।

বর্তমানে যে আয়নাগুলো পাওয়া যায় তা বেশ বড় আকারের। এর আশে পাশে থাকে কাঠের কাজ করা। কিছু কিছু আয়নার উপর বাড়তি মেটাল বসিয়ে কারুকার্যে ভিন্নতা আনা হয়। আয়নার ক্ষেত্রে কাঠের নিপুণ কাজ সবার নজর কাড়ে। তাতে খোঁদাই করা ছোট পালকি কিংবা পুতুল, পাতা, পিঠাপুলি ইত্যাদি গ্রামবাংলার এই প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। কিছু কিছু আয়নাতে থাকে কয়েক অংশ। প্রথম অংশ থাকে জানালার মতো। এটি খুললেই কেবল আপনি দর্শন পাবেন আয়নার।

মাটির ফ্রেমে বন্দি আয়নারো চাহিদা কম না। এই আয়নাগুলো দিয়ে আপনি সাজাতে পারেন ড্রয়িং রুম, লিভিং রুম, বেডরুম থেকে শুরু করে শিশুদের থাকার ঘর পর্যন্ত। বসার ঘরে রাখতে পারেন বিশাল বিশাল আয়না। যাতে আপনি আপনার নিজের প্রতিচ্ছবি আপাদমস্তক দেখতে পাবেন। ঘরে প্রবেশ করার মুখেও রাখতে পারেন আয়না। দরজার বিপরীতে মাটির টেরাকোটার কিংবা রট আয়রনের আয়নার কদর এখন দেখার মতো। এছাড়া যাদের ড্রয়িংরুম ছোট তারা ঘরের যেই অংশে চোখ বেশি যায় সেই পাশে ঝুলিয়ে দিতে পারেন বিশাল একটি আয়না।

দাম
এই আয়নার দাম নির্ভর করে এর আঁকার এবং এর নকশা এবং এর তৈরি উপাদানের উপর। এই আয়না গুলোর দাম শুরু হয়ে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত।

কোথায় পাবেন
যমুনা ফিউচার পার্ক, আজিজ সুপার মার্কেট, আড়ং, মৌচাক, নিউমার্কেট, গাউসিয়া এবং আপনার আশেপাশের অবিজাত শপিংমলগুলোতে পাবেন আপনার পছন্দের নকশা করা এসব কারুকাজময় আয়না।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।