বর্ষবরণে চাই কাচের চুড়ি
পহেলা বৈশাখে হাতজুড়ে কাচের চুড়ি থাকবে না, তাই কি হয়! কাচের চুড়ির রিনিঝিনি ছন্দই তো মনে করিয়ে দেয় বৈশাখ এসেছে। বৈশাখে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন একই রঙের কাচের চুড়ি। অনেকে আবার কন্ট্রাস্ট পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে একগোছা চুড়ি শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে আরেক গোছা পরতে পারেন এর বিপরীত রঙের মিশেলে।
পহেলা বৈশাখে যে শুধু লাল-সাদা চুড়ি পরতে হবে এমন কোনো কথা নেই। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে, শাড়ির বিপরীত রঙের এমনকি শাড়ির পাড়ে যেরকম রঙের কন্ট্রাস্ট থাকে, সে রঙের চুড়িও পরা যায়।
লাল, সাদা, সবুজ, নীল, কচি কলাপাতা রঙ, আকাশি, নীল, গাঢ় নীল, জাম রঙ, সরষে হলুদ, পেঁয়াজ রঙ, কাচা হলুদ- কত রঙের চুড়ি আপনার চাই! কাচের সব চুড়িই যে সমতল এমনটি নয়, কোনোটি খাঁজকাটা, কোনোটি আবার ষড়ভুজ আকৃতির। চুড়ির ওপর সোনালি ও রুপালি জরি আর ছোট পাথরের ব্যবহারও দেখতে পাবেন। শুধু একরঙাই নয়, দু-তিন রঙের মিশেলেও চুড়ির দেখা মিলবে।
দরদাম: ফুটপাতের চুড়ির দোকানগুলোতে দাম একটু কম। খাঁজকাটা কাচের চুড়ি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি ডজন। প্লেন রেশমি চুড়ি পাওয়া যাবে প্রতি ডজন ২৫ টাকা করে। জরির সোনালি, রুপালি, কালোসহ বিভিন্ন রঙের চুড়ি পাওয়া যাবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি ডজন। শেডের চুড়ি পাবেন ২৫ থেকে ৫০ টাকা করে প্রতি ডজন। ২-৩টি কাচের চুড়ি জোড়া দিয়ে তার ওপর মেটালের অনুষঙ্গ মিলিয়ে তৈরি করা হয় নান্দনিক চুড়ি। এসব চুড়ি গর্জিয়াস পোশাকের সঙ্গে খুব মানানসই। এসব চুড়ি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি ডজন। এছাড়াও গর্জিয়াস কাচের চুড়ি পাবেন ২০০ টাকার মধ্যে।
কোথায় পাবেন: পছন্দমতো কাচের চুড়ি পাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। চারুকলার সামনে থেকে টিএসসি মোড়, কলা ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দোয়েল চত্বরে রয়েছে বাহারি চুড়ির বাজার। ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতেও পেয়ে যেতে পারেন মনের মতো রঙের কাচের চুড়ি। কাচের চুড়ি পাবেন ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সামনেও। এ ছাড়া নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচকেও পাবেন কাচের চুড়ি।
এইচএন/পিআর