বাড়তি ওজন কমাতে যা খাবেন
ওজন বেশি হলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা অসুখ। প্রতিদিনের জীবনযাপনে চলে আসতে পারে এক ধরণের স্থবিরতা। তাই যাদের ওজন একটু বাড়তির দিকে তারা হঠাৎ করেই ওজন কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। আধপেটা খেয়ে থাকেন অনেকেই।
কেউ আবার একদম না খেয়েই কাজে-কর্মে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় না খাওয়ায় ক্লান্ত হয় শরীর, কাজে-কর্মে গতি কমে আসে মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে যায়। অনেকে আবার হঠাৎ করেই ভারী ব্যায়াম শুরু করেন যেটার ফলে আঘাত পাবার প্রবল শংকা থেকে যায়।
ওজন কমানোর কোনো জাদুমন্ত্র নেই। তাই ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ আর নিয়মিত শরীরচর্চা দুটোই দরকার। স্বাভাবিকভাবে একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-১৬০০ ক্যালরি প্রয়োজন। আর একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর প্রতিদিন গড়ে ১০০০-১২০০ ক্যালরি প্রয়োজন। এর বাড়তি হলেই সেটা জমা হবে শরীরে চর্বি হিসাবে বাড়বে ওজন।
তাই খাদ্যাভ্যাসে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তেলে ভাজা খাবার, চকলেট, আইসক্রিম, বার্গার বা স্যান্ডউইচ, বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটা, পিৎজা, ফ্রায়েড চিকেন কিংবা রোস্ট, চিপস, খিচুড়ি, ভাত, লুচি, পরোটা, পনির, রুটিসহ তেল-মসলার খাবার খেলে ওজন বাড়বে।
অন্যদিকে হাতে তৈরি রুটি, পাউরুটি, কম তেলের সবজি, অল্প তেলে রান্না নুডলস, রান্না করা সবজি, কম তেল-মসলায় রান্না করা মাংস খেতে পারেন অল্প পরিমাণে। এগুলো ওজন বাড়াবে না। ভুনা ও চর্বিযুক্ত মাংস, থাই স্যুপ বা ক্রিম স্যুপে ওজন বাড়ানোর হারকে ত্বরান্বিত করে।
খেতে পারেন তন্দুরি বা গ্রিলড খাবার। ডিম খেতে চাইলে সেদ্ধ খান। ভাজি, অমলেট কিংবা পোচ করে নয়। কেউ যদি স্বাস্থ্য সচেতনতার দোহাই দিয়ে ভাত কিংবা শর্করা খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন, সেটি যেমন খারাপ আবার অতিরিক্ত শর্করা কিংবা ভাত খেয়ে ফেলাটাও শরীর জন্য ক্ষতিকর। তাই এখন থেকে ভাত দিয়ে তরকারি নয় বরং তরকারি দিয়েই ভাত খান।
খাবারের শেষে যাদের কোমলপানীয় পানের অভ্যাস, তাঁরা ডায়েট পানীয়তে অভ্যস্ত হোন। মিষ্টি ফলও কিন্তু ওজন বাড়ায়। সবচেয়ে ভালো হয় ফলের রসে তৃষ্ণা মেটাতে পারলে, তবে ফল টক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
এইচএন/আরআইপি