শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে
অনেক অভিভাবকই চিন্তিত থাকেন বাচ্চার স্কুলে না যেতে চাওয়ার প্রবণতা নিয়ে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি, পেট ব্যথা, বমি বমি লাগছে- এসব অজুহাত দেয় বাচ্চারা। স্কুলে যাওয়ার সময় পার হলেই আবার সুস্থ হয়ে ওঠে। এ ধরনের সমস্যার নাম স্কুলভীতি। এ রকম সমস্যা অনেক শিশুরই হয়। সাত থেকে শুরু করে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে স্কুলভীতি হতে পারে। তবে সাধারণত সাড়ে সাত থেকে সাড়ে ১০ বছর বয়সের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। প্রথম স্কুলে ভর্তির এক-দুই বছরের মধ্যে অথবা পরবর্তী সময়ে কোনো কারণে স্কুল পরিবর্তন করা হলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে করণীয়:
১. শিশুকে আশ্বস্ত করতে হবে। স্কুল সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিতে হবে।
২. দীর্ঘদিন ধরে স্কুলভীতি থাকে, তবে প্রথমে স্কুল সময়ের বাইরে, যেমন বিকেলের দিকে স্কুলে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। এরপর তাকে স্কুলে অবস্থান করার অভ্যাস করাতে হবে।
৩. শিক্ষকদের উচিত হবে বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকের মতামত শোনা ও চিকিৎসকের পরামর্শকে গুরুত্ব দেওয়া।
৪. অন্যদের চেয়ে তার প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
৫. অযথা তাকে কোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া যাবে না। ভালো রেজাল্ট করতেই হবে- এমন কোনো টার্গেট বেঁধে দেওয়া চলবে না।
৬. শিশুকে সাহস দিতে হবে এবং তাকে বোঝাতে হবে যে মা-বাবা তাকে সত্যিই ভালোবাসে। শিশুকে দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলার অভ্যাস করাতে হবে।
৭. এমন কিছু করা যাবে না, যা তাকে চমকে দেয়। অযথা তাকে সারপ্রাইজ না দেওয়াই ভালো।
৮. স্কুলের সময় বাসায় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত নয়, যাতে সে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে।
৯. শিশুর সঙ্গে রাগারাগি বা মারধর করা চলবে না; বরং স্কুলে গেলে তাকে ছোট ছোট পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে।
১০. প্রয়োজনে স্কুল পরিবর্তন করতে হতে পারে।
এইচএন/পিআর